ব্যঙ্গ করতেই প্রধানমন্ত্রী ড. ইউনূসকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট করতে বলেছেন -মির্জা ফখরুল

খোন্দকার কাওছার হোসেন ॥ ড. ইউনূসকে ব্যঙ্গ করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট করার প্রস্তাব করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে নব গঠিত পাবনা জেলা বিএনপির নেতাদের নিয়ে তিনি সেখানে যান।

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভালো করেই জানেন, বিশ্ব ব্যাংকের একটি গঠনতন্ত্র আছে। যে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংস্থাটির প্রধান যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ছাড়া অন্য কোনও দেশের হয় না। তাই সেই সংস্থাটির প্রধান হিসেবে ড. ইউনূসের নাম প্রস্তাব করা তাকে ব্যঙ্গ করার সামিল।

উল্লেখ্য, গত বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে এলে তিনি তাদের কাছে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট করার প্রস্তাব করেন।
ঘরে ঘরে গিয়ে নিরাপত্তা দিতে পারবো না, বেডরুমে কি হয় তা জানা সম্ভব নয় প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য স্বভাবসুলভ। তার এ বক্তব্যে প্রমাণিত হয় দেশের আইন শৃংখলার অবস্থা কতটা খারাপ।
 
তিনি বলেন, এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনা। তারা মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই অবিলম্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিস্ট এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। তিনি বলেন, আগামী ১২ মার্চের সমাবেশে যোগ দিয়ে সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের সব মানুষ এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে মত দিয়েছে। আন্তর্জাতিক ভাবেও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হোক, তা বলা হচ্ছে। জাতি সংঘের মহাসচিব ২০১১ সালের  শেষ দিকে বাংলাদেশে সফরকালে উভয় নেতৃত্বের সঙ্গে বলেছেন সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন তারাও চায়।

অন্যদিকে আমেরিকার দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারি উন্নয়ন মন্ত্রী রবার্ট ও ব্লেক বলেছেন, আগামি নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে হতে হবে। এবং তা হবে একটি ফ্রি ফেয়ার ও ক্রেডিবল নির্বাচন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনৈতিকরাও চায় আগামী নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে হোক।