মাত্র দু’লক্ষ টাকার অভাবে গৌরনদীর একমাত্র হোমিও প্যাথিক মেডিকেল কলেজটি ২৫ বছরেও চালু হয়নি

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ মাত্র দু’লক্ষ টাকার অভাবে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার একমাত্র হোমিও প্যাথিক মেডিকেল কলেজটি। দীর্ঘদিনেও এ কলেজটি চালু না হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮২ সনে স্থানীয় হোমিও চিকিৎসক ডাঃ এ.আর আব্দুল হালিমের উদ্যোগে ও নারায়নগঞ্জ হোমিও কলেজের অভিভাবকত্বে গৌরনদী পৌর সদরে উত্তর বিজয়পুর এলাকার জনৈক ওয়াজেদ আলী বেপারীর দানকৃত ২৭শতক জমি ও আর্থিক অনুদানে একটি টিনসেট আধাপাঁকা ভবনে হোমিও কলেজের যাত্রা শুরু হয়। দু’জন এম.বি.বি.এস ও আটজন হোমিও প্যাথিক শিক্ষক নিয়ে ২৭ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হোমিও কলেজটির যাত্রা শুরু। পরবর্তীতে দুটি শিক্ষাবর্ষে ভর্তির পর একটি ব্যাচের ফলাফল প্রকাশের পরেই এ কলেজটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পরে গৌরনদী হোমিও প্যাথিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন।

সূত্রমতে, ১৯৮২ সনের প্রথম শিক্ষাবর্ষে চার বছরের ডি.এই.এম.এস কোর্সে ৬০জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। ১৯৮৩ সনে দ্বিতীয় ব্যাচে ৩৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। ১৯৮৭ সনে সরকারি রেগুলেশন জারি হওয়ার পর গৌরনদীর একমাত্র হোমিও প্যাথিক মেডিকেল কলেজটির অভিভাবকত্ব বাতিল হয়ে যায়। এ রুল জারি হওয়ায় ৩৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারেনি। এরপর থেকেই গৌরনদী হোমিও প্যাথিক মেডিকেল কলেজটি বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধের পর পরই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ডাঃ এ.আর.এম আব্দুল হালিম আদালতের স্মরনাপন্ন হয়। একপর্যায়ে হাইকোর্ট গৌরনদী হোমিও প্যাথিক মেডিকেল কলেজটি চালু রাখার নির্দেশ প্রদান করে।

প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ডাঃ এ.আর.এম আব্দুল হালিম জানান, কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কলেজের নামে জামানত হিসেবে দু’লক্ষ টাকা জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়। উক্ত টাকা সংগ্রহ না হওয়ায় (শর্ত পুরন না হওয়ায়) কলেজটি বন্ধ হয়ে গেছে। অধ্যক্ষ ডাঃ এ.আর.এম আব্দুল হালিম আরো জানান, নিজস্ব ভবন, জমি, লোকবল সবকিছু থাকা সত্বেও শুধুমাত্র দু’লক্ষ টাকার অভাবে দীর্ঘ ২৫ বছরেও কলেজটি চালু করা সম্ভব হয়নি। হোমিও প্যাথিক কলেজটি পুর্ণরায় চালুর জন্য তিনি সমাজের সমাজপতি ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান করেছেন।