যোগাযোগ ব্যবস্থার অবনতি – বরিশালের ৪ সহস্রাধিক পরীক্ষার্থী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ নির্ধারিত সময়ে লঞ্চ-জাহাজ বরিশালে পৌছাতে না পারায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি বরিশালের ৪ সহস্রাধিক পরীক্ষার্থী। জীবনের শেষ পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পরেছেন। গতকাল সকাল ১০টা থেকে ১১টা ২০ মিনিটে দেশব্যাপী প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাসকৃত বরিশালের অসংখ্য পরীক্ষার্থী বৃহস্পতিবার লঞ্চ ও জাহাজে করে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। গতকাল ভোর ৫ টার মধ্যে এসব লঞ্চ ও জাহাজ বরিশাল পৌছানোর কথা থাকলেও কুয়াশার কারনে নির্ধারিত সময়ের ৫/৬ ঘন্টা পর ১০টা থেকে সাড়ে ১১ টায় বরিশাল পৌছে। ফলে কেউ কেউ পরীক্ষা শুরুর ৩০/৪০ মিনিট পর অংশ নিলেও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি অসংখ্য পরীক্ষার্থী। আর পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে অনেকে লঞ্চঘাটেই কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।

এব্যাপারে অমৃত লাল দে কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী অনন্যা কর্মকার বলেন, তিনি স্বামীর সাথে ঢাকায় বসবাস করেন। এটিই ছিলো তার জীবনের শেষ পরীক্ষা। পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে পারাবাত-১১ লঞ্চে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু বরিশাল ঘাটে লঞ্চ পৌছে পৌনে ১১ টায়। কেন্দ্রে গিয়ে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর ভরাট করার পর পরই সময় শেষ হয়ে যায়।

এদিকে কুয়াশার কারনে রশিাল সহ দক্ষিনাঞ্চলের সকল লঞ্চ ও জাহাজ গন্তব্যে পৌছে নির্ধারিত সময়ের ৫/৬ ঘন্টা পর। সকাল ১০ টায় প্রথম বরিশালে পৌঠে এম ভি কালাম খান। পর পরই পৌসে সুন্দরবন-৭ ও ৮ সকাল পৌনে ১১ টায় পৌছে পারাবাত-১১ লঞ্চটি। এসব লঞ্চে থাকা বরিশালের হাজার হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।

বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায় জেলার ৩১ টি কেন্দ্রে ২৪ হাজার ৬শ ৪১জন পরীক্ষার্থী’র পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা থাকলেও অংশ নিয়েছে ২০ হাজার ৩শ ৫৯জন। বাকী ৪হাজার ২৮২ জন ছিলো অনুপস্থিত।