একতরফা সিইসি নিয়োগ সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্ত -চরমোনাই পীর

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মোঃ রেজাউল করীম বলেছেন, তত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে মহাজোট সরকার আইন পাশ করেছে। তারা একতরফা সিদ্ধান্তে নতুন সিইসি নিয়োগ দিয়েছে। আমরা মনে করি সরকারের এসব হঠকারী সিদ্ধান্তে দেশের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। সরকারের এসব সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাজপথে আন্দোলনের প্রস্ততি নিতে হবে। আজ সকাল ১০টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে চরমোনাইর বাৎসরিক মাহফিল মাঠে অনুষ্ঠিত ওলামা সুধী সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

পীর সাহেব আরো বলেন, শিক্ষানীতিকে সেক্যুলার করার মাধ্যমে নাস্তিক বানানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। অপরদিকে বন্ধুত্বের নামে ভারতকে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণে সম্মতি দিয়ে দেশকে মরুকরণের চক্রান্ত, ভারতীয় নর্তকী এনে এদেশের মুসলমানদের ঈমান ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে, বিএসএফ কর্তৃক নীরিহ বাংলাদেশীদের গুলি করে হত্যা ও নির্যাতন চালানো অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ দেশবিরোধী এসব কর্মকান্ড কখনই বরদাশত করবে না। পীর সাহেব চরমোনাই আগামী ১৩ এপ্রিল সরকারের এসব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, বনে যদি আগুন লাগে তখন যেমন বনের কাঁচা পাকা সব গাছ যেমন পুড়ে ভস্মিভূত হয় তেমনই আমরা যদি আমাদের অন্তরে আল্লাহর জিকিরের আগুন লাগাতে পারি তাহলে আমাদের অন্তর থেকে অহংকার, হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ, পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি পুড়ে ছাফ হয়ে যাবে। মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে আয়োজকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্যান্ডেলের বাইরে খোলা আকাশের নীচে, আশপাশের বাড়িঘরের আঙ্গিনায় এবং কীর্তখোলা নদীতে নোঙ্গর করা শত শত লঞ্চ ও ট্রলারে অবস্থান নিয়েছেন হাজার হাজার মুসল্লী। মাহফিলমুখী জনতার ঢল এখনও অব্যাহত আছে। সোমবার সকাল ৮টায় আখেরী মুনাজাতের আগ পর্যন্ত আরও ব্যাপক লোকের সমাগম ঘটবে বলে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির নায়েবে আমীর মাওলানা সৈয়দ মোঃ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী জানিয়েছেন। পরে পীর সাহেব মাগরিব বাদ মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে তার বয়ান করেন।

চরমোনাইর পীরের সভাপতিত্বে  ওলামা মাশায়েখ ও সুধী সম্মেলনে বক্তৃতা করেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওঃ ইউনুছ আহম্মেদ, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, মাওঃ গাজী আতাউর রহমান, মাওঃ আবদুল কাদের, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমাদা আবদুল কাইযূম, মুহাম্মদ মুনিরুল ইসলাম, কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা নেছার উদ্দিন, শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বরকতউল্লাহ লতিফ, মুক্তিযোদ্ধা মেহেরউদ্দিন চেযারম্যান, হাফেজ মোঃ মোশাররফ হোসেন-কুয়েত, মোঃ আঃ সাত্তার-মালয়েশিয়া প্রমূখ।