চাকরি খুঁজবেন যেভাবে – কোয়ান্টাম মেথড

পেশা নির্বাচন
চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে প্রথম শর্ত হলো কোন পেশায় যেতে চাচ্ছেন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া। কেমন চাকরি চাচ্ছেন অথবা আদৌ চাকরি করবেন কিনা সে ব্যাপারে যেন কোনো দ্বিধা না থাকে। যেমন: আপনার ইচ্ছা কোনো টেলিকম কোম্পানিতে চাকরি করা, আপনি সিভি দিয়ে বেড়াচ্ছেন ফার্নিচার/ওষুধ কোম্পানিতে। কেন? কারণ আপনি ভাবছেন যদি ডাক আসে! এরকম ক্ষেত্রে যদি পরে ডাক এসেও যায়, তারপরও কিন্তু পরের ধাপগুলোতে আপনার বাদ পড়ার সম্ভাবনাই বেশি। ধরুন, ইন্টারভিউয়ে গেলেন, প্রশ্ন করা হলো কেন ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করতে চাইছেন। এর উত্তর কি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারবেন? না, কারণ মনে মনে আপনার ইচ্ছা টেলিকম সেক্টরে কাজ করার।        

সিভি তৈরি
সিভি তৈরির সময় মনে রাখবেন নিজেকে যত আকর্ষণীয় করতে পারবেন ততই আপনার ডাক পড়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই সিভি যেন-তেন ভাবে তৈরি না করে এর প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দিন।

জনসংযোগ
চাকরির খবরের জন্য স্রেফ পত্রিকার বিজ্ঞাপনের উপর নির্ভর না করে পরিচিতদের মাধ্যমেও খোঁজ নিন। এই খবর নেয়া শুরু করুন পড়াশোনা চলাকালীন সময় থেকেই। সবসময় মনে রাখবেন পরিচিতদের রেফারেন্সে কাজ পাওয়া মানেই ‘মামা-চাচা’র জোর নয়। বরং আজকের বিশ্বে দক্ষ জনসংযোগ হলো অন্যতম গুণ।

ইন্টারভিউ
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা হলো সর্বশেষ ধাপ। অতএব আগের সবগুলো বাছাইয়ে নির্বাচিত হওয়ার পরও এই ধাপে বাদ পড়ে গেলে আপনার পুরো চেষ্টাটাই মাটি! তাই এ ব্যাপারে সতর্ক হোন।
আর এক্ষেত্রে প্রথম প্রয়োজন আপনার আত্মবিশ্বাস। এমনকী ‘জানি না’ বলেও অনেক প্রার্থী বসকে খুশি করতে পারেন কেবলমাত্র আত্মবিশ্বাসী উত্তরের জন্য। সেই সাথে ঐ প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া, পোষাক-আশাকের ব্যাপারে সচেতন হওয়ার মাধ্যমেও ইন্টারভিউয়ে আপনি বসের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেন।

সূত্র : quantummethod.org.bd