বাগধা ইউনিয়নের পশ্চিম আস্করে খালে বাঁধ দিয়ে ব্রীজ নির্মান – হুমকির মুখে ইরি-বোরো চাষাবাদ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে খালে বাঁধ দিয়ে সেচ কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে প্রভাবশালী এক যুবলীগ নেতা ব্রীজ নির্মানের কাজ অব্যাহত রেখেছে। ফলে ওই এলাকার শত শত কৃষকেরা চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে দীর্ঘদিন থেকে তাদের জমিতে চাহিদা মোতাবেক পানির সেচ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। যে কারনে জমিতে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হুমকির মুখে পড়েছে। ঘটনাটি বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের পশ্চিম আস্কর গ্রামের।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের বিনোদ বাড়ৈর বাড়ির সম্মুখের খালে এলজিইডি বিভাগ প্রায় ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি ব্রীজ নির্মানের টেন্ডার আহ্বান করে। টেন্ডারের মাধ্যমে মেসার্স ইয়ামিন ট্রেডার্স নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায়। তবে কাজটি বাস্তবায়ন করছেন উপজেলার বাগধা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বজলুল রহমান মন্টু। তিনি প্রভাব খাটিয়ে কৃষকদের সকল বাঁধা ও অনুরোধ উপেক্ষা করে গত একমাস ধরে খালে বাঁধ দিয়ে ব্রীজ নির্মানের কাজ অব্যাহত রেখেছেন। স্থানীয় কৃষক ও উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ঠিকাদারকে বারবার বাঁধ কাটার জন্য বলা হলেও মন্টু তাতে কোন কর্নপাত না করে নির্মান কাজে আরও বিলম্বিত করছে।

স্থানীয় চাষীরা অভিযোগ করেন, খালে বাঁধ দেয়ায় ওই এলাকার ১৫টি ইরি ব্লকের কয়েক’শ একর জমিতে সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকেরা আরো জানান, কাজ শুরু করার সময় দু’সপ্তাহর মধ্যে মন্টু বাঁধ তুলে দেয়ার আশ্বাস দিলেও গত একমাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বাঁধ না তুলে তিনি সময় ক্ষেপন করে চলেছেন। ভুক্তভোগী কৃষকেরা বিষয়টি উপজেলা কৃষি অফিসকে জানালে, গত এক সপ্তাহ পুর্বে উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান দাহরিয়া সরেজমিনে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্থতা দেখে ওই ঠিকাদারকে তিনদিনের মধ্যে বাঁধ অপসারন করতে বললেও ঠিকাদার প্রভাব খাটিয়ে এখনও বাঁধ অপসারন করেননি।

এ ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কৃষি অফিস থেকে তাকে বাঁধের সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। তিনি সোমবার ঠিকাদারকে চারদিনের মধ্যে বাঁধ অপসারন করতে বলেছেন বলেও উল্লেখ করেন।