আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাব সম্পর্কে কটুক্তি করায় সাংবাদিকদের নিন্দা ও প্রতিবাদ

ফেরদৌস মোল্লা বাবু, আগৈলঝাড়া ॥ আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাব সম্পর্কে কটুক্তি করে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী বরিশালের দু’টি আঞ্চলিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার হারুন রানার সভাপতিত্বে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বরিশাল থেকে প্রকাশিত ওই দু’টি পত্রিকার দ্বায়িত্বশীলতা ও তাদের তথা কথিত আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিদের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। ওই পত্রিকায় ঐতিহ্যবাহি আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাব ও তার সদস্যদের  সুনাম ক্ষুন্ন করে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ওই পত্রিকার তথাকথিত স্থানীয় প্রতিনিধিদের সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে তাদের প্রেরিত বিতর্কিত সংবাদ প্রকাশ করে স্বনামধন্য পত্রিকার সুনাম ম্লান করে চলেছেন।

সভায় বিএনপি নেতা তথাকথিত সাংবাদিক মাহাবুবুল ইসলাম দীর্ঘ দিন আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাবে গুরুত্বপূর্ন দ্বায়িত্ব পালন করছেন। তার নৈতিক স্খলন জনিত কারণে একাধিকবার তাকে সংশোধন হওয়ার কথা বললেও তিনি সংশোধন হননি। বরং সাংবাদিকতার রীতি-নীতি বিষর্জন দিয়ে সাংবাদিকতার পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকার ফলে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় তাকে বহিস্কার করা হয়। মূলতঃ মাহাবুব দলীয়ভাবেও কোনঠাসা থাকার ফলে সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেপরোয়া চাঁদাবাজী করে আসছিল। তার বিভিন্ন অপকর্মের বিস্তর খতিয়ান আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাবে সংরক্ষিত রয়েছে। পূর্বেই স্থানীয় সাংবাদিকরা তাকে এড়িয়ে চলার ফলে তিনি জানতেন যে, প্রেসক্লাব সাংবাদিকরা তার অবৈধ কাজের দায় নেবেননা। তাই তিনি প্রেসক্লাবের সদস্য পদে যারা আবেদন করেও সদস্য হতে পারেননি ও যারা আদৌও কোন সংবাদ পত্রের সাথে জড়িত নয় তাদের নিয়ে নিজের ইচ্ছামত “জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা”র নামে নিজের পকেট কমিটিতে নিজেই আহ্বায়ক সেজেছেন। যাদের মাধ্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ন সাংবাদিকদের সংগঠনটি আজ আগৈলঝাড়ায় কলুষিত হচ্ছে। প্রেসক্লাবের সদস্যপদ হারিয়ে তার অবৈধ আয়ের পথ বন্ধ হওয়ায় তিনি মনগড়া একটি সভার কথা বলে তাতে অন্যান্যদের নাম সংযুক্ত করেছেন। যা পত্রিকায় প্রকাশের পর প্রেসক্লাব সভাপতির কাছে তারা তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার আহবায়ক নামধারী মাহাবুবুল ইসলাম কোন পত্রিকার নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিনিধি নয়। সে নিজেকে গ্রাম-গঞ্জে কখনও ইত্তেফাক, প্রথম আলো, জনকণ্ঠ, আমারদেশ পরিচয় দিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষের অনৈতিকভাবে প্রতারণা করে আসছে। যার হয়রানীর স্বীকার হচ্ছে গ্রামের সহজ সরল মানুষ।