১২মার্চ আন্দোলনের নুতন সূচনা -ব্যারিস্টার মওদুদ

খোন্দকার কাওছার হোসেন ॥ আগামী ১২ মার্চ হবে আন্দোলনের ইতিহাসে নতুন সূচনা এ মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, স্বাধীনতার পর এই সমাবেশ হবে স্মরণীয় সমাবেশ।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় ৩০টি সমমনা গণতান্ত্রিক ও সামাজিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
৩০টি সমমনা গণতান্ত্রিক ও সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়কারী ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোঃ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে এ মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন নিলুফার চৌধুরী মনি এমপি, খালেদা ইয়াসমিন, নবী উল্লাহ নবী, ডেমোক্রেটিভ ম্যুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল করিম খান, মেজর (অব.) হানিফ প্রমুখ।

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ১২ মার্চ সারাদেশের মানুষ আগ্রহ-উদ্দীপনার সঙ্গে এ সমাবেশে অংশ নিয়ে এ সরকারের প্রতি তাদের অনাস্থার কথা জানিয়ে দিবে।

তিনি বলেন, ১২ মার্চ মহাসমাবেশে শুধু বিএনপি নয়, সকল শ্রেণীর মানুষ অংশগ্রহণ করবে। তাই সরকার এ সমাবেশে বাধা দিলে বিএনপি নয় সাধারণ মানুষ আপনাদের ধাওয়া করবে।
সরকার এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো অরাজকতা তৈরি করতে চাইলে বিএনপি নেতারা তা প্রতিহত করবে। তিনি বলেন, যে কোনো অরাজক পরিস্থিতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে।
জনগণের ভাষা বোঝার পর আওয়ামী লীগের কর্মসূচি দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তাহের স্মৃতি সংসদ আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার অভিযোগ করে বলেছেন, বিএনপি নয়, শেখ মুজিবুর রহমানই প্রথম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ করেছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রফিক সিকদারের সভাপতিত্বে এ স্মরণ সভায় বক্ত্যব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মান্নান, এ এস এম আব্দুল হালিম, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মর্তুজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ড. আবুল হাসনাত ও  এডভোকেট আবদুস সালাম প্রমুখ।

এম কে আনোয়ার বলেন, বেডরুম পাহারা না দেয়ার কথা বলে প্রধানমন্ত্রী চোর ডাকাত দুবৃর্ত্তদের উৎসাহিত করেছেন। সরকারের দায়িত্ব মানুষের নিরাপত্তা দেয়া। কিভাবে তা দেয়া হবে সরকারই নির্ধারন করবে।

বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচি বাধা দিলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সরকারের সঙ্গে সংঘাতে যেতে চাই না। বিএনপি জিয়াউর রহমানের গণতান্ত্রিক দল। এ  দলটি দেশ ও মানুষের রাজনীতি করে। তাই বিএনপি সংঘাত নয়, শান্তিপূর্ণভাবেই ১২ মার্চের মহাসমাবেশ করবে। এ সমবেশে বানচাল করতে কোন প্রকার বাধা দেয়া হলে জনগণই এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

এ সরকারের সময় যেসব মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে বিএনপি ক্ষমতায় এলে ওই মামলা পুনর্বহাল করে বিচারের কথা বলে এম কে আনোয়ার বলেন, আওয়ামী লীগ ৭৫ সালে বাকশালের মাধ্যেমে প্রশাসনকে দলীয় করেছিল। বর্তমানেও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে। তারা সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ পদ্ধতিও ভঙ্গ করেছে। এ কারনে দেশের প্রশাসনে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। সবকিছু মুখ থুবড়ে পড়েছে।