গ্রীস্মে বরিশালে অস্বাভাবিক লোডশেডিংয়ের আশংকা

শাকিলা ইসলাম, বরিশাল ॥ বরিশালে নতুন গ্রাহকের সাথে সাথে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গ্রীস্মে অস্বাভাবিক লোডশেডিং হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। নতুন সংযোগসহ বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজারে। এর জন্য ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দরকার হলেও পাওয়া যাবে মাত্র ৩৫/৪০ মেগাওয়াট। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন মাঝে মধ্যে এর পরিমাণ আরো কমতে পারে।

বরিশালে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতে গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে দু’লাখ ৪৬ হাজার। এর মধ্যে পিডিবিতে নতুন করে গ্রাহক হয়েছেন ৫ হাজার ৬০৩ জন্য এবং পল্লী বিদ্যুতে ১১ হাজার ১৬৯ জন। নতুন সংযোগ পেয়েছে ১৬ হাজার ৭৭২ জন। এ সপ্তাহে আরো ৬ হাজার ২৪৫টি সংযোগ দেয়া হবে। নতুন এ গ্রাহক বৃদ্ধিতে বিদ্যুতের লোড পূর্বের চেয়ে আরো ১৫ মেগাওয়াট বেড়ে গেছে।

শীত মৌসুমটা কোন মতে সামাল দেয়া হলেও আসন্ন গ্রীষ্মের সময়টা নিয়ে এখনই ঘাম ঝড়ছে বিদ্যুৎ কর্তাদের। জাতীয় গ্রীড থেকে এই সময়টাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে বড় ধরনের চাপের মুখে পড়তে হবে বিদ্যুৎ বিভাগকে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সুত্র জানায়, গত এপ্রিল মাস থেকে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের নির্দেশ আসার পর থেকে নিত্য নতুন গ্রাহক বাড়ছে। এখনো সংযোগের অপেক্ষায় রয়েছে ৬ হাজার ২৪৫ জন গ্রাহক। বর্তমানে পিডিবির বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা ৫৪ হাজার ১৩৪ জন এবং পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ১ লাখ ৯১ হাজার ৮০৭ জন।

শীতের সময়টায় সর্বসাকুল্যে ৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এবং গ্রীস্মের সময় ৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। নতুন সংযোগের কারনে এবারে গ্রীস্মের সময় বিদ্যুৎ চাহিদা দাঁড়াবে ১০৫ মেগাওয়াটে।

গত বছর ৯০ মেগাওয়াটের বিপরীতে সরবরাহ মিলেছিলো সর্বোচ্চ ২৮ মেগাওয়াট। রেশনিং করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। নতুন কিছু প্লান্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় অতিরিক্ত ৩৫/৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুত বিভাগ। তবে মাঝে মধ্যে এর পরিমাণ ২৮ মেগাওয়াটের নীচেও নামতে পারে।

এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এটিএম তারিকুল ইসলাম ও আজিজুল হক এবং পল্লী বিদ্যুতের এজিএম (বানিজ্য) ফজলুল হক জানান, সারাদেশের বিদ্যুতের বাড়তি উৎপাদন হচ্ছে একমাত্র ভরসা। সরববারহ পর্যাপ্ত হলে শান্তি আর না হলে অশান্তি হবে গ্রাহকদের।