বরিশালে লঞ্চ ও কার্গোর সংঘর্ষে কার্গোর মাস্টার নিহত

এম.মিরাজ হোসাইন, বরিশাল ॥ বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে মালবাহী কার্গো ও যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে কার্গোর মাস্টার নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো তিন জন। হতাহতরা সকলেই কার্গোর আরোহী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার ভোর রাতে কীর্তনখোলা নদীর চরবাড়িয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বাচ্চু মিয়া (৫৫) দুর্ঘটনা কবলিত কার্গো এমভি নাশেক-২ এর মাস্টার ছিলেন। তিনি নোয়াখালীর দুধমুখা গ্রামের বাসিন্দা। আহতরা হলেন কার্গোর শ্রমিক মিরাজ (২৭), আয়াজ (২৫) ও মোমিন ঢালী (৩০)। এদের মধ্যে মিরাজকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটের যাত্রীবাহী সুন্দরবন-৭ লঞ্চের সংষর্ঘে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। কলকাতার ভজভজ থেকে ৬০৬টন সিমেন্ট তৈরির উপাদান নিয়ে এমভি নাশেক-২ ঢাকা যাচ্ছিলো। ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা থেকে বরিশাল গামী একটি লঞ্চ দিক হারিয়ে কার্গোটির সামনের দিকে দ্রুত বেগে ধাক্কায় দেয়। এতে কার্গোর ডান দিক দুমড়ে মুচড়ে মাষ্টার ব্রীজ ভেঙ্গে যায়। এসময় মাষ্টার ব্রীজের ভিতরে থাকা বাচ্চু মাষ্টার চাপা পরে তাৎক্ষনিক মারা যায়। এছাড়া মাষ্টার ব্রীজে থাকা মিরাজের মাথা ও হাত-পা সহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। কার্গোর কেবিনে থাকা বাবুর্চি মোমিন টালী ও আয়াজও আহত হয়েছেন। তবে কার্গোতে ধাক্কা দেয়া যাত্রীবাহী লঞ্চের নাম জানাতে পারেননি সুকানী ধনু মিয়া। তবে লঞ্চঘাট এলাকায় খোজ নিলে সুন্দরবন-৭ লঞ্চের এক যাত্রী জানান, ভোর রাত সাড়ে ৪ টার দিকে বিকট শব্দে হঠাৎ করে লঞ্চটি ঝাকি খায়। পরে তিনি জানতে পারেন লঞ্চটির সঙ্গে একটি কর্গোর সংঘর্ষ হয়েছিলো। তবে সুন্দরবন-৭ লঞ্চের সুপার ভাইজার হারুন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।