ভাড়াটিয়া সেজে গৃহের সবাইকে অজ্ঞান করে মালামাল লুট – হোতা গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ ভাড়াটিয়া সেজে জুসের মধ্যে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে গৃহের সবাইকে অজ্ঞান করে স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে একটি প্রতারক চক্র। থানা পুলিশ চক্রের হোতা মোঃ রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। গৃহের তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কালনা গ্রামে।

জানা গেছে, অতিসম্প্রতি কালনা গ্রামের সৈকত হোসেন চিনু কাজীর ঘরের একটি রুম ভাড়া নেন লক্ষীপুর সদরের আলী হোসেনের পুত্র মোঃ রাসেল মিয়া (৩১)। একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরির কথা বলে নেয়া ভাড়া বাসায় রাসেল ও তার স্ত্রী বসবাস করে আসছিলো। একই বাড়ির মৃত খালেক মল্লি¬কের কন্যা সাদিয়া আফরোজ জানান, তাদের বসত ঘরে তার বৃদ্ধা মা হালিমা বেগম (৬০), নানী সুফিয়া বেগম (৮৫) ও গৃহ পরিচালিকা রেহানা বেগম (৪০) বসবাস করতেন। প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া রাসেল ও তার স্ত্রী কোহিনুর বেগম বিভিন্ন সময় টেলিভিশন দেখার জন্য তাদের ঘরে আসা যাওয়া করতো। মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে এক লিটারের প্রান কোম্পানীর একটি ফুটো ম্যাঙ্গো জুসের মধ্যে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে রাসেল তার সহযোগী নিয়ে তাদের ঘরে ডুকে নিজ হাতে তার মা, নানী ও কাজের বুয়াকে জুস পান করায়। কিছু সময় যেতে না যেতে গৃহের সবাই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এ সুযোগে প্রতারক রাসেল ও তার সহযোগী ঘরের মধ্যে থাকা স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় সাদিয়ার চাচাত বোন মরিয়ম ওই বাড়িতে আসেন। মরিয়মের উপস্থিতি টেরপেয়ে প্রতারচক্র সটকে পড়ে। মরিয়মের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসি জড়ো হয়ে হালিমা বেগম, তার মা সুফিয়া বেগম ও গৃহ পরিচালিকা রেহানা বেগমকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করেন। গতকাল বুধবার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হালিমার জ্ঞান ফিরলেও অন্য দু’জনের সংজ্ঞা ফেরেনি।

পুলিশ ঘটনার পর পর মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতা রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় গৃহকর্ত্রীর পুত্র হুমায়ুন কবির বাদি হয়ে আজ বুধবার গৌরনদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।