স্কুলছাত্রী সেঁজুতি আত্মহনন মামলার অভিযোগ পত্র জমা

সাইদ মেমন, বরিশাল ॥ বরিশালের বাকেরগঞ্জের স্কুলছাত্রী সেঁজুতি আত্মহনন প্ররোচনার মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে। গত ৬ মার্চ বিচার বিভাগীয় হাকিমের কাছে জমা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা বাকের থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন কবির। মামলার অভিযোগপত্রে ১১জনকে অভিযুক্ত করা হয়ছে বলেন এসআই হুমায়ন কবির।

মামলার অভিযুক্তরা হলো- সেঁজুতির চাচা ফারুক মৃর্ধা, চাচী অশ্র“ আক্তার, ছেলে নয়ন মৃর্ধা, সাইফুল ইসলাম ও তার নানা হাসেম খান, নেসারউদ্দিন ও তার বাবা বারেক মৃধা, নাসির আকন, শামীম আকন, মো. সবুজ মিয়া ও মো. রাজিব।

সেঁজুতি বাকেরগঞ্জ উপজেলার বড় রঘুনাথপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী সাদেক মৃধার মেয়ে। সে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার চৈতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী ছিলো। গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে সেজুতিকে অপহরনের পরে ধর্ষন চেষ্টা করে স্থানীয় বখাটেরা। এই ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় অপহরন ও ধর্ষন চেষ্ঠার অভিযোগ দেয় মা হাফিজা বেগম বেগম। বাকেরগঞ্জ থানার তৎকালীন ওসি রবিউল ইসলাম ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ বাদ দিয়ে মামলা গ্রহণ করে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার পরমার্শ দেন। এতে রাজি না হওয়ায় বখাটে ও তার পরিবারের সদস্যরা হুমকি দেয় এবং কুৎসা রটায়। এত রাগে ক্ষোভে  ২৩ অক্টোবর রাতে সেজুতি নিজ ঘরের দোতালায় আড়ার সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। আত্মহননের খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার পর দেশব্যাপী নিন্দা প্রতিবাদের ঝড়উঠে। সেজুতির মা বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় সেজুতি আত্মহনন প্রচারনা মামলা দায়ের করেন।