ফিলিংশ ষ্টেশনে হামলা চালিয়ে তালা ঝুঁলিয়েছে যুবলীগ নেতারা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ অভ্যন্তরীন কোন্দলের জেরধরে আট দিনের ব্যবধানে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠী ফিলিংশ ষ্টেশনে যুবলীগ নেতারা হামলা চালিয়ে দ্বিতীয় দফায় ভাংচুর করে তালা ঝুঁলিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত (গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটা) ফিলিংশ ষ্টেশনটি বন্ধ রয়েছে। হামলার ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে।

ফিলিংশ ষ্টেশনের স্বত্তাধীকারি আলহাজ্ব মোঃ আলাউদ্দিন ভূঁইয়া অভিযোগ করেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি গৌরনদী উপজেলা মাসিক সমন্ময় সভায় টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তাকে (আলাউদ্দিনকে) অভিযুক্ত করে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য সৈকত গুহ পিকলু ও তার সমর্থকেরা গত ১ মার্চ প্রথম দফায় তার ফিলিংশ ষ্টেশনে হামলা চালায়। ওইসময় ভাংচুর ও নগদ টাকাসহ অন্যান্য মালামাল লুটপাট করে ম্যানেজার ও তার সহকারিকে মারধর করে বের করে দিয়ে হামলাকারীরা ষ্টেশনে তালা ঝুঁলিয়ে দেয়। এ ঘটনায় তিনি (আলাউদ্দিন) বাদি হয়ে ১১ জনকে আসামি করে গৌরনদী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ফিলিংশ ষ্টেশনের ম্যানেজার মোঃ নুরুল হক ও সহকারী খোকন দাস জানান, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে যুবলীগ নেতা সৈকত গুহ পিকলু ও তার সহযোগী সালাউদ্দিন লালু, আব্দুস সামাদ আকন মুন্না অর্তকিত ভাবে ফিলিংশ ষ্টেশনে হামলা চালিয়ে তিনটি তেলের মেশিন ভাংচুর করে তাদের ষ্টেশন থেকে বের করে দিয়ে পূর্ণরায় তালা ঝুঁলিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন ভূঁইয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর গৌরনদী থানার এস.আই মোঃ আনোয়ার হোসেন ওইদিন রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ব্যাপারে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবুল কালাম ভাংচুর ও তালাবদ্ধর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রকৃত হামলাকারীদের চিহ্নিত করনের জন্য পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য সৈকত গুহ পিকলু বলেন, হামলার ঘটনার সাথে আমি ও আমার কোন সমর্থকেরা জড়িত নই। দলীয় অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারনে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।