যারা তত্বাবধায়কের জন্য আন্দোলনে নেমেছে তারাই তত্বাবধায়ক বিরোধী ছিলো -নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান-এমপি

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান-এমপি বলেছেন, যারা তত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আজ আন্দোলনে নেমেছে তারাই একসময় তত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধীতা করেছে। আসলে তারা তত্বাবধায়কের জন্য আগামি ১২ মার্চ মহাসমাবেশের আহবান করেননি, তারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য সমাবেশের আয়োজন করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে কিংবদন্তীর কথক কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ’র দু’দিনব্যাপী স্মরণমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৭১ সনের হত্যা, ধর্ষণ, লুন্ঠনসহ পাকসেনাদের দোসরদের বিচার দীর্ঘ ৪০ বছরেও হয়নি। এবার মহাজোট সরকারের আমলেই ওইসব চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন করা হবে। এদেশ থেকে পাপীদের চিরতরে উচ্ছেদ করা হবে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী ও নদী বন্দর রক্ষার জন্য ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করেছেন। ইতোমধ্যে অনেকাংশের কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বরিশালের আধুনিক নৌ-বন্দর নির্মিত হয়েছে। খুব শীঘ্রই নতুন কর্মসূচীগুলোর কাজ শুরু করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কবির ভাই শিক্ষামন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন-এমপি বলেছেন, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে ভেজা স্বাধীন দেশে রাজাকার শিরোমনি গোলাম আযম, নিজামী, মুজাহিদ গংদের ঠাঁই হতে পারেনা। ওইসব চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের বিচার কাজে সহযোগীতা করার জন্য স্বাধীনতার স্ব-পক্ষের শক্তিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য তিনি আহবান করেন।

কবির গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত “কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ স্মৃতি পাঠাগার”-এর মাঠে দু’দিনব্যাপী স্মরণ মেলার সমাপনী অনুষ্টানে পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আতিকুর রহমান আতিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কবির ভ্রাতৃজায়া ডাঃ নায়লা খান, সাবেক সচিব সিরাজউদ্দিন আহম্মেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মোঃ হোসেন চৌধুরী নানা ভাই, উজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বাদল প্রমুখ। আলোচনা শেষে স্মরনমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ স্মৃতি পাঠাগারের পক্ষ থেকে দু’শ মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, কবিতা আবৃত্তি, জারি গান ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়।

সবশেষে দেশবরেন্য কন্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর, জানে আলম, ক্লোজআপ ওয়ান তারকা রিংঙ্কু, বিউটি ও ক্ষুদে গানরাজের শিল্পীদের সমন্ময়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।