খোন্দকার কাওছার হোসেন ॥ আগামীকালের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও র্যাব-পুলিশের মধ্যে চলছে এক ধরনের ইদুর বেড়াল খেলা। রাজধানীর প্রবেশমুখে চেকপোস্ট, বাস-ট্রেন-লঞ্চঘাটে তল্লাসী এসব কিছুকে ফাঁকি দিয়েই হাজার হাজার নেতাকর্মী ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশ করেছেন। কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে, কেউ পরিচিত কারো বাসায় আবার কেউবা জাতীয় নেতাদের বাসায় অবস্থান করছেন।
গত ৬ মার্চ থেকে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ঢাকা আসা শুরু করেছেন। আসার পথে তারা পুলিশের সঙ্গে ইদুর বেড়াল খেলেই চলে এসেছেন। পুলিশের চোখকে ফাকি দিতে নানান কৌশল করেছেন তারা। কেউ এসেছেন ব্যক্তিগতভাবে। কেউবা যৌথভাবে।
কেন্দ্রের নির্দেশে সম্ভাব্য গ্রেপ্তার, বাধা ও হামলা এড়াতে মহাসমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের বহনকারী বাস, লঞ্চ, মাইক্রোবাসসহ কোনো গাড়িতেই বহন করা হয়নি ব্যানার, লিফলেট বা ফেস্টুন।
বিভিন্ন জেলার স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার লোক ঢাকায় অবস্থান করছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলার ৪দলীয় জোটের প্রায় ৬ লাখ নেতাকর্মী এ মুহূর্তে ঢাকায় অবস্থান করছেন। সরকার যে আমাদের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় করবে, কর্মসূচিতে আসতে দেবে না তা আমরা আগেই ধারণা করেছি সে জন্য আগে থেকেই ঢাকার বাইরে থেকে নেতাকর্মীরা আসা শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, সরকার যতই ধরপাকড় করুক এ সমাবেশ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ঢোল বাজিয়ে আসতে চান না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মূল টার্গেট কর্মসূচি সফল করা; তাই আমরা ব্যানার, ফেস্টুন ও ঢোল বাজিয়ে বাজিয়ে আগে থেকেই ঢাকায় আসতে চাই না।
জানা গেছে, শুধু ১২ মার্চ সকালে ঢাকার নির্ধারিত একটি স্থানে জড়ো হয়ে ব্যানার সহকারে মিছিল নিয়ে তারা মহাসমাবেশে যোগ দেবেন। এসব ব্যানার ফেস্টুন ঢাকাতেই তৈরি হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ঢাকার বাইরের ৪দলের নেতাকর্মীদের অনেকেই যে ঢাকায় অবস্থান করছেন। সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে অধিকার রক্ষায় জনগণ ঢাকায় এসেছে, আসছে এবং আসবে।
জামাতের কেন্দ্রীয় এক নেতা জানান, ২০টিরও বেশি জেলা থেকে তাদের নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যেই ঢাকায় পৌছেছেন।