ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেয়ায় আট জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বখাটেরা

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলার আব্দুল হকের মেয়ে নরসিংদী সরকারী কলেজের অনার্স (রসায়ন বিভাগের) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সুমি ও তার  কলেজ পড়–য়া ভাই বাবুল ভেলানগর বাসষ্টান্ডে বাস থেকে নেমে কলেজে যাওয়ার পথিমধ্যে স্থানীয় বখাটে ও চিহিৃত সন্ত্রাসী জাকারিয়া, শিমুল মিয়া, রবিন ও কাওছার মিয়া ভাইয়ের সামনেই কলেজ ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল মন্ত্রব্যসহ বিভিন্ন রকম উত্যক্ত করতে থাকে।
একপর্যায়ে কলেজ ছাত্রীর ভাই বাবুল প্রতিবাদ করলে বখাটেরা তাকে মারধর শুরু করে। অবস্থা বেগতিক দেখে সুমি তখন ভাইকে বাঁচানোর জন্য ডাকচিৎকার শুরু করে এবং পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ সময় বাড়ির লোকজন বের হয়ে আসলে বখাটেরা তাদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে বখাটেরা মোবাইল ফোনে তাদের সহযোগীদের খবর দেয়। পরে আরো কয়েকজন বখাটে সন্ত্রাসী রাম দা, ছোড়াসহ দেশীয় অস্ত্রেসজ্জিত হয়ে ওই বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় কলেজ ছাত্রী সুমিসহ ওই বাড়ির ৭ জনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে সুমি কলেজে তার শিক্ষককে ঘটনাটি জানালে কলেজের অধ্যক্ষ পুলিশের সহায়তা চান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে। এলাকাবাসি আরো জানায়, বখাটে রবিনের বিরুদ্ধে ইভটিজিংসহ নানা অভিযোগ রয়েছে এমনকি মাধবদী পুলিশ ফাঁড়িতে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ থাকলেও পুলিশ তাকে এবং তার দলের কোন সদস্যদের গ্রেফতার করেনি।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক আইনজীবী জানায়, এক বখাটে আওয়ামীলী নেতার ভাগ্নে হওয়ায় তাকে রক্ষা করতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা উঠে পরে লেগেছে। তবে নরসিংদী সরকারী কলেজের ছাত্রলীগ নেতা রনি মোল্ল¬া ও ছাত্রদল নেতা নোমান আহম্মেদ জানান, আসামীদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার না করলে কলেজের ছাত্ররা কঠোর পদক্ষেপ নিতে দ্বিধাবোধ করবেনা। পুলিশ সুপার আক্কাছ আলী জানান, বখাটেদের গ্রেফতার করার জন্য ইতোমধ্যে সদর থানা ও ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সদর থানা সুত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রী সুমি বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। কলেজ ছাত্রী সুমী এড়ঁৎহধফর.ঈড়স-কে জানান, এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী ও বখাটেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর তাকে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি অব্যাহত রয়েছে।