জবানে লেবাসে বাঙালী, দিল হ্যায় পাকিস্তানী

মুনতাসির মামুন ॥ বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পাঁচ কোটি রুপী নিয়েছেন, মানে নিয়েছিলেন ১৯৯১ সালে। তিনি আইএসআইয়ের এজেন্ট। এ ধরনের অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রশ্ন করা যেতে পারে, তাতে কি হয়েছে? খালেদা জিয়া টাকা খেয়েছেন, প্রয়োজনে আরও খাবেন তাতে প্রধানমন্ত্রীর খারাপ লাগছে কেন? রাজনীতিবিদদের রাজনীতি করার একটি মুখ্য উদ্দেশ্যই হচ্ছে টাকা খাওয়া। সোর্স যাই হোক না কেন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের সময় কোন কোন দূতাবাস টাকা বিতরণ করে বলেও শোনা যায়। মানুষজন এতে খুব একটা গা করে না। এটি স্বাভাবিক বলেই মেনে নিয়েছে। আমরা তা মানতে পারিনি, আমাদের লেখালেখি বক্তব্যের মাঝেও তা প্রকাশ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর খারাপ লাগছে কিনা বা খারাপ লাগলেও কেন লাগছে তা জানি না। জানার দরকারও বোধ করি না। কিন্তু, একটি স্বাধীন দেশে, বিরোধী দলের নেত্রীর বিরুদ্ধে এ ধরনের একটি অভিযোগ গুরুতর অভিযোগ।
বিএনপি-জামায়াতের ‘ঢাকা চলো’ কর্মসূচীর ঠিক আগে এই অভিযোগ করা হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমার অবাক লেগেছে যে, দৈনিক জনকণ্ঠ ছাড়া অন্য কাগজগুলো এই অভিযোগে তেমন গুরুত্ব দেয়নি ইচ্ছাকৃতভাবে। তারা কি মনে করে অভিযোগটি গুরুতর নয়? এটির সঙ্গে কি বাংলাদেশের নিরাপত্তার প্রশ্নটি জড়িত নয়? পৃথিবীর একমাত্র আইনী সন্ত্রাসী সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট যদি হন একজন রাজনীতিবিদ তাহলে দেশের নিরাপত্তা বলে আর কিছু থাকে না। তবে, প্রধানমন্ত্রী এই অভিযোগ তুলেছেন তার পেছনে অবশ্যই রাজনীতি আছে। প্রশ্ন সেটি গ্রহণযোগ্য কিনা?

বিএনপি-জামায়াত ইসলামী ‘ঢাকা চলো’র কর্মসূচী দিয়েছে ১২ মার্চ। দীর্ঘদিন তারা এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এর একটি হলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের প্রতিদিনের তর্জন-গর্জন। মি. গর্জন সিংহকে টিভি চ্যানেলগুলো গুরুত্ব দিচ্ছে। বস্তুত এই চ্যানেলগুলোই মি. সিংহকে গড়ে তুলছে। তিনি এখনও পর্যন্ত কোন সাংগঠনিক সফর করেননি, ঢাকা ছেড়ে ক্বচিৎ বেরোন কিন্তু তিনিই এখন বিএনপির প্রতীক। বেগম জিয়া আছেন বটে তবে প্রতিদিন তো আর তাঁকে চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে না। মির্জা ফখরুল অনায়াসে সরকারকে দোষারোপ করেন, যা ইচ্ছে তাই বলেন। আমাদের মিডিয়ার আত্মম্ভরিতা আছে বটে কিন্তু বিএনপির সামনে দাঁড়ানোর সাহস নেই। বিএনপির ক্ষেত্রে তারা ‘এমবেডেড জার্নালিস্ট।’ আমি এরকম দু’একজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, সাংবাদিকদের একমাত্র কাজ কি মির্জা ফখরুল বা বেগম জিয়ার সামনে মাইক ধরে থাকা? সেটিই যদি হয় তা’হলে অফিসের পিয়নকে পাঠালেই তো হয়। তারা জানিয়েছেন, বেগম জিয়া কোন প্রশ্নের উত্তর দেবেন না বলে ঠিক করা হয়েছে। তাঁকে লিখিত প্রশ্ন আগে দিতে হবে। কিন্তু, শেখ হাসিনা বা এএমএ মুহিত হলে তাঁরা নির্দ্বিধায় প্রশ্ন করেন। কারণ, তাঁরা মিডিয়ার সঙ্গে প্রভুসুলভ আচরণ করেন না। শেখ হাসিনার কোন বাক্য পছন্দ না হলে মিডিয়ায় হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। বেগম জিয়া বললে তা’ হয় না। এ বিষয়টি লক্ষণীয়। মিডিয়ায় এক ধরনের মর্ষকামিতা আছে। নিপীড়কদের তারা পছন্দ করে। তবে, ব্যতিক্রম যে নেই তা’ নয়। তা থাকবেই। এবং প্রয়োজনে তাদের সাহসী পদক্ষেপ সাধারণ মানুষ শুধু প্রশংসাই করে না, কৃতজ্ঞও থাকে।

মির্জা ফখরুলকে সে রকমভাবে ‘প্রতিরোধ’ বা মি. গর্জন সিংহের দিকে মুখ করে প্রতি গর্জন করতে পারেন আওয়ামী লীগের মাত্র একজন। তিনি হলেন আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। বাকিদের ম্রিয়মান কণ্ঠস্বরে না দলের মানুষ উজ্জীবিত হয়, না বিরোধী দল তোয়াক্কা করে না সাধারণ মানুষ শোনে। বাকি থাকেন শেখ হাসিনা। বিরোধীদলের গলাবাজির মোকাবেলা করতে হয় তাঁকেই। তাঁর উপদেষ্টাদের সবাই ঠাট্টা করে বলে মনমোহনের উপদেষ্টা। আর মন্ত্রী ও দলীয় শীর্ষ নেতাদের বিএনপির কাউন্সিলর। মনমোহনের স্যুটেডবুটেড উপদেষ্টা আর বিএনপির কাউন্সিলরদের দিয়ে বেগম জিয়া বা মির্জা ফখরুলকে প্রতিরোধ করা যায়নি। দোষটা প্রধানমন্ত্রীর ওপরই বর্তায় কারণ, তাঁরা তাঁর লোক।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত কয়েকদিন শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি তুলেছেন তা এত গুরুতর যে, অন্য কোন দেশ হলে এ ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলের নেত্রীকে রাজনৈতিক সব পদ নয়, রাজনীতি থেকেও হয়ত বিদায় নিতে হতো। বিএনপির নেতারা তা জানেন। সে কারণে, প্রতিদিন ঢাকা চলো কর্মসূচী নিয়ে তারা অনবরত উচ্চকণ্ঠে কথা বলছেন, অতিরঞ্জিত এমনকি মিথ্যা বক্তব্যও দিচ্ছেন। মিডিয়া পরোক্ষভাবে হলেও তাদের সহায়তা করছে। কেননা, বিএনপি নেতৃবৃন্দকে প্রথমেই টাকা খাওয়ার এ প্রশ্নটি করা উচিত ছিল। মির্জা ফখরুল বা খালেদা জিয়াকেও।

মির্জা ফখরুল অবশ্য এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন বিষয়টি মিথ্যা। কিন্তু কিভাবে মিথ্যা হলো? প্রমাণপত্র থাকতেও কিভাবে বিষয়টি মিথ্যা হয়? এর জবাব মির্জা ফখরুল দেবেন না, তা জানি। যেমন দেবেন না জেনোসাইড প্রশ্নেও। কয়েকদিন আগে টিভির খবরে দেখলাম এক বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল বলছেন, আওয়ামী লীগ জেনোসাইড চালিয়েছে। ‘জেনোসাইড’ শব্দটি ইংরেজী। তিনি কি এর মানে জেনে বলেছেন না, না জেনে বলেছেন? জেনোসাইডের সাধারণ অর্থ গণহত্যা। আমরা জানি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী জামায়াত, মুসলিম লীগ প্রভৃতির কর্মীরা ৩০ লাখ লোককে হত্যা করেছিল। সে জন্য এটি জেনোসাইড বা গণহত্যা। আওয়ামী লীগ কখন জেনোসাইড করল? জামায়াতীরা যে তত্ত্ব দিয়েছে তার সঙ্গে অবশ্য মির্জার এই নতুন ‘তথ্য’ সঙ্গতিপূর্ণ। জামায়াতীরা বলে, মুক্তিযোদ্ধারাও তো জামায়াতীদের হত্যা করেছে সুতরাং শুধু তারা একমাত্র অপরাধী কেন? মির্জা ফখরুলদের যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে ভূমিকা এ কারণেই। সেটি হচ্ছে পাকিস্তানীদের, জামায়াতীদের, মুসলিম লীগারদের জেনোসাইড অস্বীকার করা। এটি গুরুতর অপরাধ। রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।

পাকিস্তান, জেনোসাইড, আইএসআই শব্দগুলো সমার্থক। বিএনপির স্রষ্টা জিয়াউর রহমান মার্চের ২৫ তারিখেও পাকিস্তানীদের হয়ে অস্ত্র খালাস করতে গেছেন, পরে বাধ্য হয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছেন। ওসমানী তাঁর স্বভাব জানতেন, তাই তাঁকে সেক্টর কমান্ডারও করেননি, স্বাধীনতার পর সেনাপতি পদেও তাঁকে সমর্থন করেননি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়ার আসল চেহারা উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হতে থাকে। পাকিস্তান বন্ধু হিসেবে তিনি আবির্ভূত হন। তাঁর সব কাজই ছিল পাকিস্তানের সন্তুষ্টির জন্য। আইএসআইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গাঁটছড়া তখনই বাধা হয় এবং বাংলাদেশের ডিএফআইকে আইএসআইয়ের মডেলে গড়ে তুলে ডিজিএফআই করা হয়।

বিএনপিতে যারা যোগ দিয়েছিল তাদের অধিকাংশ ছিল মুসলিম লীগ অথবা আওয়ামী লীগ বিরোধীদের বংশোদ্ভূত। তারা বাংলাদেশে বিশ্বাসী ছিলেন না। রেনিগেড বামপন্থী যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা আওয়ামী লীগ পছন্দ করতেন না, নিজেদের রাজনীতি নিয়েও ছিলেন হতাশ। জামায়াতকে মুক্ত করে দেয়ার পর এবং তাদের সঙ্গে আঁতাতের পর তারা বাংলাদেশ চেতনা বিরোধীদের দলে পরিণত হয়। এরা পাকিস্তানে যাবে না কারণ, তালে তারা ঠিক। তারা জানে, পাকিস্তানে গেলে চাকর বাকর হয়ে থাকতে হবে। বাংলাদেশে পাকিস্তানী হয়ে থাকা বরং ভাল। এ কারণেই, তারা টাকা নেয় আইএসআইয়ের কাছ থেকে, এ কারণেই তারা ১৯৭১ সালের খুনীদের সমর্থন করে।

১৯৯৯ সালে পাকিস্তান বিষয়ে একটি বই লেখার জন্য আমি ও ইউপিএলের মহিউদ্দিন আহমদ পাকিস্তান গিয়েছিলাম। লাহোরে ফ্রাইডে টাইমসের দফতরে পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখন তিনি বিএনপি/সেনাবাহিনীকে আইএসআই কর্তৃক টাকা দেয়ার কথাটি বলেছিলেন। এবং আরও জানিয়েছিলেন, ঐ সংক্রান্ত সংবাদ তাঁরা ছেপেছিলেন। ২০০১ সালের পর পাকিস্তানে এক সেমিনারে যাওয়ার পর, সেখানেও অনেকে জানিয়েছিলেন ২০০১ সালের নির্বাচনেও আইএসআই টাকা দিয়েছে। ঐ সময় সেনাবাহিনীর অফিসাররা প্রকাশ্যে বিএনপির পক্ষে যা করেছিল তাতে ঐ বিষয়টি অবিশ্বাস করার অবকাশ কম।

এবার টাকা নেয়ার ব্যাপারটা প্রকাশ্যে আবারও আসার কারণ, আদালতে এফিডেভিট দাখিল করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল আসলাম বেগ এই তথ্য দিয়েছেন। এফিডেভিট করে মিথ্যা তথ্য দেয়া যায় না। সেই খবরটিই ছাপা হয়েছে খালিজ টাইমসে। এরকম একটি খবর, যদি ভিত্তি না থাকে তাহলে খালিজ টাইমস ছাপত না। ঐ এফিডেভিটের একটি কপি সংগ্রহ করতে পারলেই সমস্যার অনেকাংশে সমাধান হয়।

এই টাকা নেয়ার কারণেই বোধহয় পাকিস্তানীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে হয়েছে বিএনপিকে। এর অন্যতম হলো, প্রচ- ভারত বিরোধিতা, উগ্রবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী ভারতীয়দের সাহায্য করা, জামায়াত ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত ও পরবর্তীকালে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়া, পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে বিজয়ী শক্তিকে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা। লে.জে. জিয়ার নেতৃত্বে সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধু ও পরিবারকে হত্যা করেছিল। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড ছোড়া হয়েছিল। খালেদা জিয়াদের পাকিস্তানপ্রীতি মানুষজন আর সহ্য করতে পারেনি দেখেই গতবার সংসদে ৩০টি আসন পেয়েছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে জিততেই হবে, নইলে পার্টি ব্যারিস্টার মওদুদ, ব্যারিস্টার হুদা, মির্জা ফখরুল বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। সেজন্য যুদ্ধাপরাধী বিচার বন্ধ করা জরুরী। এটি পাকিস্তানী এজেন্ডা। সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণের জন্য ঢাকা মার্চের দরকার হয় না। তবে, কে জানে এর জন্যও আইএসআই বরাদ্দ রেখেছে কিনা। রাখলে তো খরচ করতে হয়। নেতাদের পকেটেও টু পাইস যায়।
বিএনপির ‘ঢাকা চলো’ কর্মসূচীর আমি অসমর্থক নই। বিরোধী দলের এই ধরনের কর্মসূচী পালনের অধিকার আছে। এতে জনদুর্ভোগ বাড়বে, বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় সবই সত্য। কিন্তু, তারপরেও এ ধরনের সমাবেশ হয়। কারণ, মানুষ নিশ্চয় তা চায়, না চাইলে বাধা দিত। মুখ ফিরিয়ে নিত। এবং গণতন্ত্রে মানুষের কথাই শিরোধার্য। বিএনপির সমাবেশ হবে। ঢাকার আশপাশে থেকেই মানুষ সংগ্রহ করা হবে। দূর থেকে মানুষ তেমন আসবে না। বিএনপির ঢাকা চলো কর্মসূচী হবে।

বিএনপির খন্দকার মোশাররফ বলেছেন, বিএনপি ঢাকা চলো রাজনীতির একটি টার্নিং পয়েন্ট। আওি তাই মনে করি। রাজনীতির মধ্যে এখন আর ব্যক্তিগত প্রশ্নটা জরুরী নয়, রাজনৈতিক আদর্শের প্রশ্নটাই জরুরী। বিএনপির বিভিন্ন কর্মকা- বিশেষ করে ১৯৭১ সালের সমর্থন, আইএসআইয়ের সমর্থন সবকিছু মিলে এই দলকে পরিণত করেছে পাকিস্তানী মনা দলে। এরা বাঙালী, জবান বাংলা কিন্তু দিল হ্যায় পাকিস্তানী। আওয়ামী লীগের অবস্থান এর বিপরীত। আর এ কারণেই শেখ হাসিনা বার বার এই প্রশ্নটি তুলছেন, দেশের একজন রাজনীতিবিদ পরাজিত পাকিস্তানীদের টাকা নিলে রাজনৈতিক অধিকার থাকে কিনা। যাঁরা নিরপেক্ষ নিরপেক্ষ বলেন তাঁরাও ছুপা পাকিস্তানী। না হলে জোরালোভাবে শেষোক্তদের সমর্থন করতেন। এখন বাংলাদেশী এই পাকিস্তানীর সংখ্যা একেবারে কম নয়। খাঁটি বাঙালী পাকিস্তানীর সংখ্যা হবে ৩০ ভাগের মতো।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানীরা ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছিল। আজ চার দশক পর স্বাধীনতার মাসেই পাকিস্তানীরা আবার ঢাকা চলো কর্মসূচী দিয়েছে। মার্চ মাসে এই কর্মসূচী দেয়ার কারণ, স্বাধীনতা দিবসকেও খানিকটা বিদ্রুপ করা। বাংলাদেশের মানুষ যদি পাকিস্তানীদের চায় তা’হলে গণতন্ত্রের স্বার্থে তা মেনে নিতে হবে। আর বাঙালীরা থাকতে চাইলে তাদের বাংলাদেশের পক্ষে রাজপথ ভরিয়ে তুলতে হবে ১৯৭১ সালের মার্চের মতো। এখন আর দ্বিধাদ্বন্দ্বের সময় নেই। কেননা এটি আদর্শেরও টার্নিং পয়েন্ট। বিএনপির লংমার্চÑআপত্তি নেই। পাকিস্তানী এজেন্ডা পূরণে লংমার্চ, আপত্তি আছে।