নাম-ঠিকানা-সার্টিফিকেট সবই ভূয়া – চাকুরীতে ঢুকেছেন এক প্রতারক

প্রবীর বিশ্বাস ননী, আগৈলঝাড়া ॥ এক এক স্থানে ভিন্ন ভিন্ন নাম, ঠিকানা ও ভূয়া সার্টিফিকেট দিয়ে চাকুরীতে ঢুকেছেন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় এক পেশাদার প্রতারক।

তথ্যানুসন্ধ্যানে জানাগেছে, সরকারী পর্যায়ে গবাদী পশু চিকিৎসা ও কৃত্তিম প্রজনন (ই,টি) প্রকল্পের আওতায় আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্যে একজন যুবককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে ওই পদে  মোঃ হৃদয় হোসেন (সাকিব) নামে এক যুবক আবেদন করে। সম্প্রতি ঢাকার সাভারে (ই,টি) প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৩ মাসের কোর্স সমাপ্ত করে এলাকায় ফিরেছেন। তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, মোঃ হৃদয় হোসেন (সাকিব) এর বাড়ি গৌরনদী উপজেলার ৫ নং নলচিড়া ইউনিয়নের বোরাদি গরঙ্গাল গ্রামে তার পিতার নাম জব্বার ফকির মা রেনু বেগম। গত ২৬/১০/২০০৭ ইং সারে বাগধা ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের বেলায়েত হোসেনের মেয়ে জেসমিনকে বিবাহ করে মোঃ শাকিব আলমগীর ফকির নাম দিয়ে। প্রতারক হৃদয় চাকুরীতে ঢোকার জন্য কৌশলে বাগধা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিক সনদপত্র উত্তোলন করে। একই কৌশলে বাগধা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গত ০৫/০৪/১১ইং হৃদয় হোসেন নাম লিখে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট উত্তোলন করে চাকুরীর আবেদন পত্রে সংযুক্ত করে দেয়। প্রতারনা এই ঘটনা জানতে পেরে বাগধা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি সংশ্লিষ্ট স্থানে লিখিত ভাবে প্রতারণার বিষয়ে জানিয়ে দেন। এবিষয়ে হৃদয় হোসেন শাকিবের সাথে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বখতিয়ার হোসেন এবিষয়ে বলেন, মূল আবেদন করেছে ঢাকায়। সাকিবের কথাবার্তায় সন্দেহজনকই মনে হচ্ছে। প্রতারণার ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি প্রমাণ পেলেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া  হবে। প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি গঠণ করা হবে এ প্রতারণা উদঘাটনের জন্য।