বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ নামিয়ে দেয়া হয়েছে নেতা-কর্মীদের

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ ঢাকার সদরঘাট থেকে শনিবার রাতে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা এমভি সুরভী-৭ ও পারাবত-৭ যাত্রীবাহী দুটি লঞ্চের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখিয়ে রবিবার দুপুরে বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া গৌরনদীর প্রায় পাঁচশতাধিক বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীকে লঞ্চ থেকে নামিয়ে দিয়েছে স্থানীয় থানা পুলিশ।

সুরভী-৭ লঞ্চের সুপারভাইজার মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন, “লঞ্চে যান্ত্রিক ত্র“টি রয়েছে। এ অবস্থায় লঞ্চ ছাড়া হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমতাবস্থায় লঞ্চ ঢাকা যাবে না। মেরামতের পরই লঞ্চ ছাড়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। একই কথা জানিয়েছেন পারাতব-৭ লঞ্চের ষ্টাফরা। অপরদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো বরিশাল থেকে ঢাকাগামী সকল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বরিশাল নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের একাধিক কাউন্টারের স্টাফরা জানিয়েছেন, ১২ মার্চ সন্ধ্যার আগে বরিশাল থেকে কোন বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়া হবে না। রবিবার রাত সড়ে আটটপা পর্যন্ত বরিশাল থেকে কোন লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি।

এদিকে গৌরনদী উপজেলা যুববদলের সভাপতি সফিকুর রহমান শরীফ স্বপন অভিযোগ করেন, তার নেতৃত্বে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের প্রায় পাঁচশতাধিক নেতা-কর্মীরা টরকী-ঢাকা রুটের  গৌরনদীর উপজেলার কয়ারিয়া লঞ্চঘাট থেকে এমভি মহানগরী লঞ্চে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। লঞ্চ ছাড়ার পূর্বে মুহুর্তে গৌরনদীর সরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস.আই শাহজালাল খলিফার নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাদের লঞ্চ থেকে নামিয়ে দিয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে বিএনপির নেতৃবৃন্দরা জোরপূর্বক লঞ্চ ছাড়তে বাধ্য করার হুমকি প্রদর্শন করে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মোবাইল ফোনে থানায় অভিযোগ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তাদের কেউ নামিয়ে দেয়নি।