গৌরনদীতে ফতোয়ার স্বীকার এক গৃহবধূ

সালিশ বৈঠকে উপস্থিত গ্রামপুলিশ জামাল ঘরামী, ইস্রাফিল হাওলাদারসহ একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, ফতোয়াবাজ সালিশরা তালাক নামায় স্বাক্ষর করতে বললে গৃহবধূ হালিমা একাধিকবার সালিশ বৈঠক থেকে উঠে যাওয়াসহ তার প্রবাসী স্বামীকে বিষয়টি জানানোর আবেদন করেন। এ সময় ফতোয়াবাজরা তার (হালিমার) কথায় কোন কর্ণপাত না করে শারিরীক নির্যাতন করে জোড়পূর্বক তালাকনামায় স্বাক্ষর আদায় করে। 
পৌর ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সালিশ ইউনুস সিকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হালিমার প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিয়ে ধর্ষক সাইদুরের সাথে বিবাহ দেয়ার জন্যই তালাক নামায় স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে নান্নু মৃধা প্রভাব খাটিয়ে সালিশ বৈঠকে ধর্ষক সাইদুরকে হাজির করেননি। একইভাবে জানালেন, অপর সালিশ ও আওয়ামীলীগ নেতা নিতাই লাল মন্ডল।
গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ফতোয়াবাজ সালিশরা ধর্ষকের বিচার না করে ধর্ষিতার কাছ থেকে জোড়পূর্বক তালাক নামায় স্বাক্ষর নেয়ার ঘটনাটি অমানবিক। এ ঘটনায় গৃহবধূ হালিমা বেগম বাদি হয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষক ও সালিশদের ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই শাহজালাল জানান, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য জোড় প্রচেষ্টা চলছে।