প্রবাসীর স্ত্রীকে জোড় করে তালাক নামায় স্বাক্ষর নেয়ার ঘটনায়

ধর্ষিতা গৃহবধূ অভিযোগ করেন, মামলা উত্তোলনের জন্য ধর্ষক সাইদুর রহমানের প্রভাবশালী আত্মীয়-স্বজন, ফতোয়াবাজ সালিশরা তাকে (ধর্ষিতা গৃহবধূকে) ও তার শারীরিক প্রতিবন্ধি পিতাকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ হুমকি অব্যাহত রেখেছে। মামলার দুই দিন পরেও পুলিশ অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করতে না পারায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অপরদিকে ধর্ষিতা গৃহবধূকে গতকাল বুধবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বরিশাল জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা অনতিবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ, বেজগাতি গ্রামের ওমান প্রবাসী আব্দুর রব সরদারের স্ত্রী ও দু’সন্তানের জননী হালিমা বেগমকে (২৬) গত ৩০ মে রাতে পাশ্ববর্তী নন্দনপট্টি গ্রামের প্রভাবশালী নুরু সন্যামাতের পুত্র সাইদুর রহমান জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। গৃহবধূর আত্মচিৎকারে বাড়ির লোকজনে এগিয়ে এসে ধর্ষককে আটক করে। এ ঘটনায় মামলা না করার জন্য ধর্ষকের প্রভাবশালী আত্মীয়রা গৃহবধূকে চাপ প্রয়োগ করে। ওই ঘটনায় স্থানীয় ফতোয়াবাজ সালিশরা সোমবার রাতে প্রহসন মূলক সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। সালিশ বৈঠকে ফতোয়া দিয়ে গৃহবধূকে নষ্টা আখ্যাদিয়ে শারিরীক নির্যাতনের পর প্রবাসী স্বামীকে না জানিয়ে তালাক নামায় স্বাক্ষর আদায় করে গৃহবধূর মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মালামাল রেখে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। অসহায় গৃহবধূ উপায়অন্তুর না পেয়ে ওইদিন রাতেই পৈত্রিক বাড়ি কটকস্থলে আশ্রয় নেন।