বরিশালের দু’ইউনিয়নবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন আহত ॥ ভাংচুর

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে ও শনিবার রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়ন পাশ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নবাসীর মধ্যে দফায় দফায় হামলা-পাল্টা হামলা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় একটি ইজিবাইক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে দু’থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার মাগুরা নসিমন স্ট্যান্ড থেকে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে গৌরনদী উপজেলার বার্থী গ্রামের নসিমন চালক ইলিয়াস সিকদার যাত্রী নিয়ে বার্থী হাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ইলিয়াসের নসিমনটি পশ্চিম ভালুকশী গ্রামের জামে মসজিদ এলাকা অতিক্রম কালে স্থানীয় লতিফ ফকির সড়কের ওপর ভ্যান রেখে নসিমনকে সাইড না দেয়ায় ইলিয়াস ও লতিফের মধ্যে বাকবিতন্ডা বাঁধে। একপর্যায়ে লতিফ ফকির হামলা চালিয়ে নসিমন চালক ইলিয়াসকে মারধর করে। তাকে উদ্ধারের জন্য বার্থী গ্রামের বিএনপি নেতা হারুন মোল্লা এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়। এ খবর মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পরলে হারুন মোল্লার পুত্র মিলন মোল্লা, ভাতিজা শাহিন মোল্লা ও তাদের সহযোগীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে রাজিহার ইউনিয়নের ভালুকশী গ্রামবাসী তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে আহত করে। এনিয়ে ওইদিন রাত সাড়ে আটটার ও রবিবার সকালে কয়েক দফা হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ও ভালুকসী গ্রামের ইজিবাইক চালক সেন্টু মৃধাকে মারধর করে তার ইজিবাইকটি ভাংচুর করা হয়। হামলা ও পাল্টা হামলায় উভয় ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত সেন্টু মৃধা, হায়দার আলী, ফারুক মোল্লা, হারুন মোল্লা, মিলন মোল্লা, শাহিন মোল্লাকে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দু’ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে দু’থানায়ই পৃথক ভাবে দুটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।