শরীয়তপুরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর হত্যা

ঘটনাস্থল ঘুরে ও নিহতের শাশুরী রিজিয়া বেগমের সাথে আলাপ করে জানা যায়, দীর্ঘ ৭ বছর আগে পাশের মোসলেম সরদারের পুত্র মোঃ মোতালেব সরদারের সাথে কাসেম কবিরাজের মেয়ে বকুল বেগম (৩২) এর দ্বিতীয় বিয়ে হয়। এ ঘরে বকুলের একটি ছেলে আছে। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী মোতালেব সরদার মিসর চলে যান। স্ত্রী বকুল ও ছেলে রাব্বীকে (৬) শ্বশুরবাড়িতে রেখে যায়। দীর্ঘ ২ বছর যাবত স্বামী বিদেশ থাকায় বকুল তার চাচার ঘরে থাকেন। প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে ছেলেকে নিয়ে বকুল ঘরের বারান্দায় ঘুমাতে যান। আজ শুক্রবার  সকালে ছোট শিশু রাব্বী ঘুম থেকে জেগে তার মাকে কাছে না পেয়ে ঘরের ভিতর ঢুকতেই দেখে বকুল রক্তাক্ত অবস্থায় উপুর হয়ে পড়ে আছে। সাথে সাথে চিৎকার দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। বাড়ির লোকজন এসে দেখে বকুলের গলা কাটা রক্তাক্ত লাশ। নিহতের গায়ে একাধিক কোপের দাগ রয়েছে। এরপর পালং থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
নিহতের মা মনোয়ারা বেগম জানান, তার মেয়ে বকুল মোবাইল ফোনে মাঝে মাঝে কথা বলতো। জানি না কার সঙ্গে কথা বলতো। কে বা কারা খুন করেছে জানি না। শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী আহম্মেদ খান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যা মনে হলো পরকীয়া প্রেমের কারণে গৃহবধূ বকুল খুন হয়ে থাকতে পারে।