আইপি এস এবং ইউপিএস এর মধ্যে পার্থক্য

৩. ইউপিএস এ অটোমেটেড ভোল্টেজ রেগুলেশন হয় এবং এটা সাধারনত ২২০ এ সেট করা থাকে। কিন্তু আই পি এস এ মেইন ভোল্টেজ এর সমান ভোল্টেজ পাওয়া য়ায়।

৪. এটাই হল ইউপিএস এবং আই পিএস এর প্রধান পাথক্য। ইউপিএস এ সাধারনত প্রথমে মেইন থেকে সরাসরি ইউপিএস এ কারেন্ট সাপ্লাই হয়। এই কারেন্ট এসি থেকে ডিসি তে কনভাট হয় এবং ধারাবাহিকভাবে ব্যাটারীকে চাজ করে। চাজিত ব্যাটারী থেকে পাওয়ার যায় সাইন ওয়েভ ইনভাটারে যেখানে ডিসি কনভাট হয়ে আবার এসি পাওয়া যায়। এই এসি থেকেই আমরা পিসি তে পাওয়ার পাই। আউটপুট পাওয়ার সম্পুন ডিসি থেকে আসে বলে এর সময় পার্থক্য কখনো পরিবর্তন হয় না। তাই সব সময় ফ্রিকোয়েন্সী অপরিবর্তিত থাকে। অন্যদিকে আইপিএস এ সরাসরি ইনভাটারে মেইন সাপ্লাই কারেন্ট যায়। এই মেইন সাপ্লাই একই সময়ে আউটপুটেও যায়। অর্থাত একই সময়ে মেইন সাপ্লাই ব্যাটারী চাজ করে এবং আউটপুটে পাওয়ার দেয়। আইপিএস এ একটি সেন্সর এবং রিলে মেকানিজম থাকে যেটি কিনা সব সময়ই চেক করে যে মেইন সাপ্লাই থেকে পাওয়ার আসছে কিনা। যখনই মেইন এ পাওয়ার অফ হয়ে যায় তখনই এটি ট্রিগার করে ব্যাটারী থেকে চার্জ নেয়া শুরু করে।

৫. সাধারনত মেইন সাপ্লাই কারেন্ট হয় একশত ভাগ সাইন ওয়েভ। কিন্তু ইউপিএস এর আউটপুট দেখতে কিছুটি স্কয়ার ওয়েভের মত। অন্যদিকে আইপিএস এর আউটপুট দেখতে অনেকটা স্টেপ ওয়েভ এর মত। কোনটিরই পিওর সাইন ওয়েভ পাওয়া যায় না বলেই আইপিএস এ ইন্ডাক্টিভ লোডের ক্ষতি হয়। এই কারনে যারা এই পিএস চালান তাদের ঘন ঘন রেগুলেটর নষ্ট হয় বলে শোনা যায়।

৬. ইউ পিএস এর মেকানিজম আইপিএম এর চেয়ে অনেক ব্যয় বহুল এবং জটিল।

Writer : Salman Hossain