আগৈলঝাড়ায় মন্দিরের জায়গা দখল নিতে না পারায় নিজ ঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

গৌরনদী সংবাদদাতা ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় প্রত্যন্ত পশ্চিম বাগধা গ্রামে শত বছরের পুরানো হিন্দু সম্প্রদায়ের সার্বজনীন কালী মন্দিরের জায়গা হাত ছাড়া হওয়ার কারণে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, পশ্চিম বাগধা গ্রামে সার্বজনীন কালী মন্দিরে পূজার্চনা ও সকল ধর্মের লোকজনের অংশগ্রহনে বার্ষিক উৎসব পালন করে আসছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। মন্দির সংলগ্ন ভিপি সম্পত্তির ৮ শতাংশ জমি মন্দির  কমিটি দীর্ঘদিন যাবৎ লিজ নিয়ে মন্দিরের কাজে ব্যবহার করে আসলেও  কয়েক বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী কালার বাড়ি গ্রামের খালেক খান মন্দিরের পাশে মৃত কহিল উদ্দিন সরদারের জায়গায় বসতি স্থাপন করে মন্দিরের সাথে থাকা ওই ভিপি সম্পত্তি কৌশলে লিজ নিয়ে দখলে নেয়। ওই জায়গা দখলের কারণে মন্দিরের জায়গা ছোট হয়ে যাওয়ায় হিন্দু সম্প্রদায় পূজার্চনা এবং বার্ষিক উৎসব উদযাপনে বিঘ্নের সৃষ্টি হয়।

অভিযোগে জানাযায়, খালেক খান উগ্র সাম্প্রদায়িক মনোভবের লোক হওয়ার কারণে প্রায়ই হিন্দু সম্প্রদায়কে কটাক্ষ করে উসকানীমূলক কথা বলে আসছে। সম্প্রতি মন্দির কমিটি সরকারের নিকট থেকে পুনরায় ওই ৮শতাংশ ভিপি সম্পত্তি মন্দিরের নামে লিজ নেয়। গত ২৩ মে বুধবার মন্দিরে বাৎসরিক উৎসব উদযাপনের দিনে স্থানীয় ও দূরাগত কয়েকশত ধর্মপ্রাণ মানুষের সমাগম ঘটে মন্দির প্রাঙ্গনে। উৎসবে আগত লোকজন সদ্য লিজ নেয়া জায়গায় প্রবেশ করলে খালেক খানের স্ত্রী সাহিদা বেগম শত শত লোকের উপস্থিতিতে নিজের রান্না ঘর ও খড়ের গাঁদায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে মন্দির কমিটি ও আগত লোকদের ফাঁসিয়ে দেয়ার কৌশল নেয়। এসময় মন্দির প্রাঙ্গনে আগত স্থানীয় ইউপি মহিলা সদস্য রীনা মধু এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করে আগুন নেভানোর জন্য উপস্থিত লোকজনের আহবান জানালে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও আতংক দেখা দিয়েছে।

মন্দির কমিটির সভাপতি অমল কৃষ্ণ রায় ও সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্র নাথ সমদ্দার সাংবাদিকদের জানান, আমরা এ ঘটনা তাৎক্ষনিকভাবে ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি সহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।