বরিশালে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত

 

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের বিবাদমান বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে ফের শনিবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের সময় উভয় গ্রুপের চারজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এছাড়া সংঘর্ষে আরো আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬ জন। গুরুতর আহত চারজনকে মুমুর্ষ অবস্থায় শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে বিবদমান দু’গ্র“পের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালনকে কেন্দ্র করে দু’দিন পূর্বে কামাল পন্থীরা মজিবর রহমান সরোয়ার পন্থীদের হামলার শিকার হন। এ কারনে গতকাল শনিবার কেন্দ্রের কর্মসূচী পালনের লক্ষ্যে উভয়গ্র“প রনপ্রস্তুতি গ্রহণ করে। বিবাদমান যুবদল ও ছাত্রদলের পৃথক ৪টি কর্মসূচী শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করা হলেও দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে কামালপন্থী যুবদল নেতা মোমেন সিকদারের মেয়েকে বহনকারী একটি প্রাইভেটকারে মটরসাইকেল যোগে হামলা চালায় সরোয়ারপন্থী ক্যাডার কামরুল ইসলাম রতন। নগরীর সদর রোডে এ হামলার খবর পেয়ে উভয় গ্র“পের ক্যাডাররা ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় কামরুল ইসলাম রতনের সহযোগী নগরীর সিকদার পাড়ার আজিম ও তার সহযোগী ডন প্রথমে কামাল গ্র“পের রাসেদুজ্জামান ও রিমনকে কুপিয়ে জখম করে। এরপর কামাল গ্র“পের লোকজন মোমেন সিকদারের পক্ষ নিয়ে পাল্টা হামলা চালায়। তারা সরোয়ার সমর্থিত মাহাবুব হাসান সোহাগ ও অভিকে কুপিয়ে জখম করে। অভি সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার মশিউর রহমান জাহাঙ্গীরের পুত্র। তার অবস্থা আশংকাজনক। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করেছে। তবে কামরুল ইসলাম রতন বা তার সহযোগী কোনো ক্যাডারদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, এখানে দীর্ঘদিন ধরে জেলা বিএনপির সভাপতি আহসান হাবিব কামাল ও মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সংসদ সদস্য মজিবর রহমান সরোয়ারের গ্র“পের মধ্যে চরম বিরোধ চলে আসছে। তাদের দু’জনের বিরোধের জের মুল দল ছাড়াও অঙ্গসংগঠনে কোন্দল ও সংঘাত লেগেই আছে। মাত্র দু’দিন পূর্বে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে কামাল সমর্থিত যুবদল নেতা কর্মীরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালন করতে গেলে সরোয়ারপন্থীদের হামলার শিকার হন।