আগৈলঝাড়ায় একটি অমানবিক ঘটনা – কুকুরের কাজ করেছে মনিব নিজেই!

আগৈলঝাড়া সংবাদদাতা ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে এসে অমানবিক-নৃশংস হামলার স্বীকার হয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মৃত্যুরসাথে পাঞ্জা লড়ছে এক যুবক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, গত রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে একই উপজেলার নাঘার গ্রামের প্রেমচাদ বাড়ৈর ছেলে ভবতোষ বাড়ৈ রাজিহার গ্রামে তার আত্মীয় ভাংরা বাড়িতে যাবার পথে স্থানীয়দের কাছে পথের জিজ্ঞেস করলে তারা তাকে ভুল পথ দেখিয়ে দেয়। ওই ভুল পথে গিয়ে রাজিহার খ্রিষ্টান পাড়ার নিকোলাস সরকারের বাড়ির পাশ দিয়ে যাবার সময় নিকোলাসের পালিত কুকুর ভবতোষের উপর চড়াও হয়। আত্মরক্ষার্থে ভবতোষ বাচাও বাচাও বলে দৌড়ে নিকোলাসের ঘরে ঢুকে পরলে নিকোলাস ও তার ছেলে শুশান্ত সরকার তাকে চোর বলে রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এমনকি কুকুরের মত শরীরের বিভিন্ন অংশে কামরে মাংস তুলে নিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় ভবতোষের কাছে থাকা নগদ অর্থ ও মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয় তারা। ভবতোষের শরীর রক্তাক্ত জখম হলে তাকে বাপ ছেলে মিলে পাশ্ববর্তি পুকুরে নামিয়ে রক্ত ধৌত করতে বাধ্য করে। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ভবতোষ শুশান্তর স্ত্রীকে জাপটে ধরেছে বলে তাকে পেটানো হয়েছে এমন মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়। পরে স্থানীয়দের তোপের মুখে ওই রাতে স্থানীয় মারিয়া মাদার চাইল্ড কেয়ার ক্লিনিকে নেয়া হলে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পরামর্শ দেয়। ওই রাতেই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে রোগির অবস্থা বেগতিক দেখে তারা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করে। শেবাচিমে ভবতোষের মাথায় ২৫ সেলাই দেয়া হয়েছে বলে তার পরিবার সূত্রে জানাগেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, কোন চোরকেও তারা জীবনে এভাবে কোনদিন পেটাতে দেখেনি। এঘটনা এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলেও আহতকে এক নজর দেখতে হাসপাতালেও যায়নি নিকোলাসের পরিবারের সদস্যরা। গত মঙ্গলবার নিকোলাসের বাড়িতে গিয়ে কোন পুরুষ পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তারা আত্মগোপনে রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। বর্তমানে ভবতোষের অবস্থা আশংকা জনক বলে জানাগেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।