কঠিন রোগে আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান

হাকিকুল ইসলাম (খোকন) ॥ মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমানকে আপনি চিনবেন। তিনি একজন সৎ, ন্যায়পরায়ন, সৃষ্টিশীল রাজনীতিবিদ। তিনি কাল ও সমাজ সচেতন মাটি ও মানুষের ইতিহাস-ঐতিহ্য চর্চাকারী। বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আত্মমগড়ব তিনি। মাটি ও জীবনের মর্মভূমে প্রোথিত শেকড় সন্ধানী মানুষ। মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান কঠিন রোগে আক্রান্তমোস্তাফিজুর রহমান চৌমুহনী কলেজের ছাত্র ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ছাত্রলীগের মাধ্যমেই তাঁর ছাত্র রাজনীতির শুরু।

১৯৬৭-৬৮ সালে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে নোয়াখালীতে ছাত্র সংগঠন ও সকল আন্দোলনে অসাধারণ ভূমিকা রাখেন। তারপর, ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬৯ সালে তোফায়েল আহমেদ ও আ স ম আবদুর রব নেতৃত্বাধীন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক এবং ১৯৭০ সালে নূর আলম সিদ্দিকী ও শাহজাহান সিরাজ নেতৃত্বাধীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক হিসেবে সারা দেশে ঐতিহাসিক ৬-দফা ও ১১-দফা আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে লেখা থাকবে। সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে ১৯৬২ সালে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে যে ‘স্বাধীন বাংলা নিউকিয়াস’ গড়ে ওঠেছিলো তিনি বৃহত্তর নোয়াখালীতে ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় প্রত্যেক মহকুমায় ও থানায় স্বাধীন ‘জাতি-রাষ্ট্র’ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘স্বাধীন বাংলা নিউকিয়াসের’ সেল গড়ে তোলেন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বি এল এফ (মুজিব বাহিনী)-এর পূর্বঞ্চলীয় অধিনায়ক শেখ ফজলুল হক মনি’র নেতৃত্বাধীন বৃহত্তর নোয়াখালীর বিএলএফ (মুজিব বাহিনী)-এর প্রধান সংগঠক ছিলেন।

মোস্তাফিজুর রহমানের জীবন ও রাজনীতির পরিধি অনেক বড়। আজকের ছোট কলেবরে উপস্থাপন করা আদৌ সম্ভব নয়। এক কথায় তিনি একজন মেধাবী, সাহসী, সৎ, স্বাধীনতা সংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, স্বাধীন দেশের উপযোগী রাষ্টব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অগ্রসৈনিক এবং একজন সাবেক সংসদ সদস্য।

এই অসাধারণ মানুষটি আজ কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। রাজনৈতিক অঙ্গীকার সম্পনড়ব একজন দেশপ্রেমিকের গুণাবলী নিয়ে তিনি জীবন-যাপন করে আসছেন। দুর্নীতির কালিমা তাঁকে কখনো স্পর্শ করতে পারেনি এতটুকু। তিনি সৎ মানুষের প্রকৃত উদাহরণ।

আসুন, এমন একজন মানুষের জন্য আমরা মহান স্রষ্টার কাছে তাঁর রোগ মুক্তির জন্য প্রার্থনা করি তার চকিৎিসার জন্য র্আথকি সহযোগিতা দরকার,  সকলে সাধ্যরে মধ্যে তার চকিৎসার জন্য র্আথকি সহযোগিতা করার আবদেন জানাচ্ছি।

মোস্তাফিজুর রহমানের মোবাইল নং ০১১৯ ১১৫ ১১৭৯

শুভেচ্ছান্তে,
ডাঃ মাহ্ফুজুর রহমান(চট্টগ্রাম): ০১৮১৯ ৩৩৯২৮৬, ফাহিম উদ্দিন আহমেদ(চট্টগ্রাম) ০১৯১৩ ৪২০৪২১, রাখাল চঁন্দ্র বনিক: (চট্টগ্রাম) ০১৮১৯ ৩১৯০১১, দেওয়ান মাকসুদ আহমেদ(চট্টগ্রাম): ০১৭১২ ০৬৭৮৬২, আবুল খায়ের বি এ (নোয়াখালী): ০১১৯৯ ৫৩৩৯৬৪, আবু ছায়েদ(নোয়াখালী): ০১৮১৯৩৬২৩০৩, কামাল উদ্দিন আহমেদ(নোয়াখালী): ০১৭৪৭ ০৬৪০৯৫ ও কাজী আবদুল লতীফ-সাজু (ঢাকা) : ০১৭১১ ৪৩০৯৮৬।