প্রধানমন্ত্রী কেন কলঙ্কের বোঝা বইবেন!

গোলাম মাওলা রনি এমপি ॥ ইচ্ছা ছিল ডা. দীপু মনির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে লিখব। লেখার ইচ্ছা ছিল গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিয়ে। কিন্তু অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশের কিছু সদস্যের বাড়াবাড়ি এবং উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে সারা দেশে। আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধির প্রায়-অনুভূতিহীন ডিএনএ’র সেলগুলো বারবার তাড়া দিচ্ছে কিছু লেখার জন্য।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের। সেই ১৯৮৬ সাল থেকেই সচিবালয়ে যাতায়াত। যেতাম ক্যান্টনমেন্টেও। দীর্ঘদিন ধরে সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসন কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। হয়েছে সংশ্লিষ্ট এবং ঊধর্্বতন কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণ করার। সমস্যা সব সময়ই কিছুটা ছিল। কিন্তু ইদানীংকালের কতিপয় নতুন সৃষ্ট সমস্যা পুরো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেই অস্থির ও অকার্যকর করে তুলেছে। ব্যবস্থা না নিলে সরকারের বারোটা বাজানোর জন্য এই মন্ত্রণালয়ই যথেষ্ট। কেন এমনটি হলো_ এ প্রশ্নের উত্তরে আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণের কিছু অংশ পাঠকদের জানাচ্ছি।

মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহীর পদটি মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রী। নিয়তির নির্মম পরিহাসে ১৯৯১ সাল থেকে অদ্ভুত চরিত্রের মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে ওই পদে। অতীতের কেউই যেমন স্বাভাবিক ছিলেন না, তেমনি বর্তমানের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকেও আমার স্বাভাবিক মনে হয় না। তাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা তারা সব সময় প্রধানমন্ত্রীকে তাদের ডিটারজেন্ট পাউডার হিসেবে ব্যবহার করেন। অর্থাৎ তাদের সব ময়লা-আবর্জনা এবং ব্যর্থতার দাগ ও গ্লানি যেন প্রধানমন্ত্রীকেই পরিষ্কার করতে হবে। যেখানেই তারা ব্যর্থতার পরিচয় দেন সেখানেই প্রধানমন্ত্রীকে টেনে আনেন। এ যাবৎকালের সব আলোচিত ব্যর্থতার জন্য তারা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকেই পরোক্ষভাবে দায়ী করেছেন। তারা সর্বদাই বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রী দেখছেন; ওটা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আছে; সেটা প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করবেন ইত্যাদি। আরে বাবা, প্রধানমন্ত্রী যদি সব কিছু দেখবেন তাহলে আপনারা আছেন কেন? কেন সরকারি বেতন নিচ্ছেন এবং মন্ত্রণালয়ের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে আছেন। আর প্রধানমন্ত্রী কেন তাদের কলঙ্কের বোঝা বইবেন! স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সবচেয়ে চৌকস, গুরুত্বপূর্ণ এবং বড় আকৃতির মন্ত্রণালয়গুলোর অন্যতম। পুলিশ, আনসার, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, র্যাব, জেলখানা, ফায়ার ব্রিগেড, ইমিগ্রেশন, পাসপোর্ট অধিদফতর, বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর কিছু পদসহ অন্যান্য অনুবিভাগ নিয়ে এর বিশাল কর্মযজ্ঞ। এ মন্ত্রণালয়ের বেশির ভাগ বিভাগই দিনরাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করে। কর্মকর্তাদের বেশির ভাগই অস্ত্রধারী এবং ক্ষেত্রবিশেষে বিচারিক ক্ষমতার অধিকারী। তারা মারতে পারেন, বিচার করতে পারেন এবং দরকার হলে আরও কিছু করতে পারেন। সংবিধান, প্রচলিত পেনাল কোড এবং ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোডের প্রবিধান ছাড়াও তাদের রয়েছে পুলিশ অর্ডিন্যান্স। র্যাব ও বিজিবির জন্য রয়েছে ইনডেমনিটিসহ আলাদা আইন। কাজেই এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও অন্য কর্মকর্তাদের কর্ম, চিন্তা এবং ব্যক্তিত্বের আভিজাত্য, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব সবার চেয়ে উত্তম হওয়া আবশ্যক। কিন্তু নিয়তির পরিহাসে তুলনামূলক ‘ইনফেরিয়র’ লোকগুলোই কেন জানি এ মন্ত্রণালয়ের ঘাড়ে চেপে বসেন। এদের ধরন ও প্রকৃতির একটি উদাহরণ দেওয়া যাক_

ঘটনাটি বিএনপি না আওয়ামী জমানার তা বলা যাবে না। কিন্তু ঘটনা সত্য। সদ্য নিয়োগ পাওয়া স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সংসদে এসেছেন। উৎফুল্ল সহকর্মী সংসদ সদস্যরা তাকে ঘিরে রংতামাশা করছেন। একজন বললেন_ ভাই, আইজি-ডিআইজিরা কীভাবে আপনাকে স্যালুট দেয়। মন্ত্রী অভিনয় করে দেখান। কয়েক এমপি বলেন_ ভাই, হয়নি। মন্ত্রী আবার দেখান, অন্য গ্রুপ বলতে থাকেন, হয়নি। মন্ত্রী আবার অভিনয় শুরু করেন। এভাবে প্রায় পাঁচ মিনিট কসরত করার পর সমবেত সংসদ সদস্যরা করতালির মাধ্যমে যখন স্বীকৃতি দিলেন মন্ত্রীর স্যালুট নেওয়ার ভঙ্গি পারফেক্ট হয়েছে, তখনই তিনি ক্ষান্ত হলেন। সেই মন্ত্রীই তার আইজিকে একদিন বললেন, ‘আইজি সাহেব, আপনি তো প্রায়ই প্রধানমন্ত্রীর কাছে যান। আমার বিষয়টি তাকে বলবেন। আমি তো আর আপনার মতো এত ঘন ঘন যেতে পারি না।’ …

বারবার ঘুরেফিরে ল্যাজে মাথা নাড়ানোর প্রসঙ্গটি এসে যাচ্ছে। কারণ পুরো মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ বিভাগ মূলত ল্যাজে চালাচ্ছে। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আসাদ কিংবা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বেনজীর কি বলতে পারবেন ঢাকা জেলা ও মহানগরীর সব ওসির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ আছে? আমি বলব, নেই। তারা সবাই গোপালগঞ্জ অথবা বৃহত্তর ফরিদপুরের বাসিন্দা। সবার ওপরই রয়েছে উঁচু মহলের আশীর্বাদ। আমার সঙ্গে অনেকেরই পরিচয় আছে। তাদের ভাবসাব দেখে মনে হয় তারা আইজি বা ডিআইজিকে তেমন একটা গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না।

পুলিশ হেডকোয়ার্টারে সবচেয়ে প্রভাবশালী পদ অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন)। আমার জানা মতে, তিনি সজ্জন ও ভালো মানুষ। সরকার ও দেশের প্রতি যথেষ্ট দায়িত্বশীল। আমি নিশ্চিত তিনি কাজ করতে পারছেন না। শত বাধা-বিপত্তি পদে পদে তাকে নিরুৎসাহিত করছে। নিরুৎসাহিত করছে চৌকস অফিসার বেনজীরকেও। তার প্রশাসনের ফাইলটি এগোচ্ছে না, কেউ কেউ মশকরা করে বলছেন, শর্টসার্কিট হয়েছে। তবে সবচেয়ে ভালো আছেন আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার। ভালো ছিলেন সাবেক আইজি নুর মোহাম্মদও। আওয়ামী লীগ গর্ব করতে পারে, তারা কোনো দলীয় মতাদর্শের লোককে আইজি বানাননি। অন্যদিকে আইজিরাও গর্ব করে বলতে পারবেন, দল কিংবা সরকারের বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নে তারা কখনো কাজ করেননি। কেবল পদ রক্ষার্থে তারা উঁচু মহলে তোষামোদী এবং সব ঝামেলা থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে চমৎকার একটি সময় অতিবাহিত করছেন অনেকটা নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর কায়দায়।

এরই মধ্যে সরকারের কিছু প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত পুরো মন্ত্রণালয়কে অস্থির, স্থবির এবং অকার্যকর করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। আইজির পদটি সিনিয়র সচিবের সমপর্যায়ের করার কারণে তিনি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে থোড়াই কেয়ার করেন। প্রথা অনুযায়ী আইজিরা সচিবের রুমে এসে দেখা করেন। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কারণে বর্তমান আইজি এখন পর্যন্ত সচিবের রুমে ঢোকেননি। এমনকি তাদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় পর্যন্ত হয়নি। অন্যদিকে আইজি যেহেতু গা বাঁচিয়ে চলেন সেহেতু সরকার সমর্থক ঊধর্্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে পাত্তা দেন না। এ নিয়ে আইজির কোনো ক্ষোভও নেই। তিনি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দৌড়ঝাঁপ এবং মাঝেমধ্যে প্রথাগত মিটিং ও টিভি ক্যামেরায় মুখ দেখানোর মধ্যেই আত্দতুষ্টি লাভ করছেন। এ তো গেল পুলিশপ্রধানের কথা। আইজি মর্যাদায় আরও কয়েকটি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এগুলোর তেমন কোনো কাজ নেই। ফণীভূষণ ও নববিক্রম ত্রিপুরার আশা ছিল তারা পুলিশপ্রধান হবেন। হননি। ফলে বর্তমানে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলা ছাড়া তাদের কোনো কাজ নেই। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, দেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অর্থাৎ ওসি পদটি প্রথম শ্রেণীর করা হবে। ওসি এবং তার নিম্ন পদের সব পুলিশ সদস্য খুশি হলেও খুশি হননি বিসিএস করা পুলিশ অফিসাররা। ফলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ফাইল এগোচ্ছে না। সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে স্পেশাল বিসিএসের মাধ্যমে শতাধিক এএসপি নিয়োগ দিয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন। অর্থ মন্ত্রণালয় সৃজিত পদের অনুকূলে অর্থ ছাড় করেনি এখনো। ফলে নিয়োগপ্রাপ্তরা বেতন-ভাতা পাবেন না। এ নিয়ে পুরো মন্ত্রণালয়ে চলেছে ক্ষোভ ও হতাশা।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরই বিএনপি মনোভাবাপন্ন কর্মকর্তাদের ওএসডি করতে থাকে। তাদের মধ্যে সার্বিক বিচারে অনেকেই ছিলেন চৌকস অফিসার। পুলিশে তাদের সমপর্যায়ের মেধাবী ও জনপ্রিয় কর্মকর্তার সংখ্যা অনেক কম। তাদের সার্ভিস থেকে দূরে রাখার কারণে একটি বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হয়। এ শূন্যতা যাদের দ্বারা পূরণ করা হয়েছে তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাঙ্ক্ষিত মানের নয়। অধিকন্তু কিছু বর্ণচোরা ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হঠাৎ ভোল পাল্টিয়ে রাতারাতি আওয়ামী লীগার বনে গেছেন। তাদের বিপুল অবৈধ অর্থের প্রভাবে সরকারের প্রভাবশালীদের সার্টিফিকেট ম্যানেজ হয়েছে। ভালো পোস্টিং পাওয়া গেছে। এখন চলছে খরচ উসুলের নামে দুর্নীতির মহোৎসব। তাদের দাপটে সরকার সমর্থক সত্যিকার যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মকর্তারা ক্রমশ উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন এবং প্রদীপের পাদপীঠে চলে যাচ্ছেন। ফলে মাঠপর্যায়ে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

এবার মন্ত্রী প্রসঙ্গে আসি। জনৈক ঊধর্্বতন কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন, ‘মতিয়া চৌধুরী যদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হতেন, তাহলেই অর্ধেক অপরাধী দেশ ছেড়ে পালাত। মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা এবং বিভিন্ন বাহিনীর আন্তঃবিরোধ এমনিতেই নিষ্পত্তি হয়ে যেত’। কট্টর সরকার সমর্থক পুলিশের এক ঊধর্্বতন কর্মকর্তা প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের প্রশংসা করে বললেন, ‘তিনি সব কিছু বুঝতেন এবং সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত দিতেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়িত হতো। আমরা কখনো সাইফুর রহমান সাহেবের কাছে গিয়ে খালি হাতে হতাশ হয়ে ফিরিনি। তিনি আদর করতেন, সম্মান করতেন এবং সমস্যার সমাধান দিতেন। অথচ বর্তমান অর্থমন্ত্রী…।’

আমার কাছে মনে হয় পুরো পুলিশ বাহিনী একটি আরবীয় তেজী ঘোড়ার মতো। ঘোড়ার মালিককে জানাতে হবে এই ঘোড়ায় কীভাবে চড়তে হবে এবং কীভাবে চালাতে হবে। ঘোড়ার খাদ্য কী? ঘোড়ার চরিত্র কী? তা না হলে ঘোড়ার লাথিতেই মালিকের মৃত্যু ঘটবে। অন্যদিকে মালিক যদি ঘোড়াকে শিকলবদ্ধ করে দানাপানি না দেন তাহলে ঘোড়াটি মারা যাবে। অপ্রিয় হলেও সত্য, বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর অসংখ্য সমালোচনা সত্ত্বেও পুলিশের মধ্যে অসম্ভব জনপ্রিয় ছিলেন। পুরো বাহিনী এবং মন্ত্রণালয় তার অনুগত ছিল। আওয়ামী লীগ সমর্থক পুলিশ কর্মকর্তারাই আমাকে এ কথা বলেছেন। বাবরকে ঘিরে মেধাবী ও চৌকস বিএনপি সমর্থক পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি বলয় ছিল। বাবর প্রতিটি বিষয় তাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতেন। সিদ্ধান্ত যেহেতু ঊধর্্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গৃহীত হতো সেহেতু তা বাস্তবায়নে কোনো সমস্যাই হতো না। গত সাড়ে তিন বছরে বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি বলয় তথা মজলিসে শুরা তৈরি করতে পারেননি। তাদের শুভার্থী বলে পরিচিত এমন কোনো মেধাবী ঊধর্্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নাম আমি শুনিনি। অবশ্য এটা আশা করা আমার মতো হীনমন্যদেরই শোভা পায়। কেননা তারা হলেন সর্বজনীন। সব কর্মকর্তাই তাদের কিন্তু তারা কারও নন। প্রতিমন্ত্রীকে আমি একদিন বলেছিলাম, সারা দিন আপনার এখানে বসে আপনাকে তো কোনো কাজ করতে দেখলাম না। মনে হচ্ছে প্রতিমন্ত্রীর তেমন কোনো কাজ নেই। তিনি উত্তর করলেন, তুমি ঠিকই বলেছ, এখানে করার মতো তেমন কাজ নেই।

// দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রকাশিত //