উন্নয়নের টাকা আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পকেটে

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ জনগুরুতপূর্ণ একটি রাস্তা নির্মানের জন্য এক বছরে চারটি প্রকল্পের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা উত্তোলন করে নামে মাত্র কাজ করে পুরো টাকাই এক ইউপি চেয়ারম্যান আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসি ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিপুল দাসের বিরুদ্ধে।

ভূক্তভোগী এলাকাবাসির অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলা সদরের ফুলশ্রী গ্রামের হ্যালিপ্যাড সড়ক হইতে আভা মুখার্জির বাড়ি পর্যন্ত জনগুরুতপূর্ণ প্রায় সাড়ে পাঁচ’শ ফুট সড়কের জন্য গত এক বছরে ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাস একে একে ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলের ওয়ান পাসেন্ট, চল্লিশ দিনের কর্মসূচী প্রকল্প, এলজিএসপি ২০১০-২০১১ ও সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব তহবিলের ওয়ান পাসেন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে তিন লক্ষ টাকার প্রজেক্ট দেখিয়ে নামেমাত্র কাজ করে পুরো টাকাই আত্মসাত করেছেন। বর্তমানে ওই রাস্তার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে ওয়ান পাসেন্টের এক লক্ষ টাকার কাজ শুরু করা হয়। নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে চেয়ারম্যান রাস্তার কাজ শুরু করার পর স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ করে।

ভুক্তভোগীদের বাঁধা উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান বিপুল দাস ক্ষমতার প্রভাবখাটিয়ে নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে নামেমাত্র রাস্তা নির্মানের কাজ অব্যাহত রেখেছেন। উপায়অন্তুর না পেয়ে এলাকাবাসির পক্ষে জনৈক বাচ্চু ফকির উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীর বরাবরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত আবেদন করেছেন। ভুক্তভোগীরা সরেজমিনে রাস্তার কাজ পরিদর্শন করে চেয়ারম্যান বিপুল দাসের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

উল্লেখিত অভিযোগ অস্বীকার করে বাকাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিপুল দাস বলেন, স্বাধীনতার পর উক্ত সড়কে কোন সংস্কার হয়নি। রাস্তাটি ভাল ভাবে নির্মানের জন্য একাধিকবার প্রকল্প নেয়া হয়েছে।