বরিশালে আগৈলঝাড়া উপজেলার আহুতি বাটরা গ্রামে সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষন

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার আহুতি বাটরা গ্রামের এক সন্তানের জনক কর্তৃক এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুর্মুর্ষ অবস্থায় ধর্ষিতাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

উপজেলার আহুতি বাটরা গ্রামের দিনমজুর কানাই হালদার জানান, তার কন্যা বাটরা পাবলিক একাডেমীর ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে (১৪)। গত মঙ্গলবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী বাড়ির সুধীর হালদারের পুত্র এক সন্তানের জনক রজত হালদার (৩০) আম খাওয়ানোর কথা বলে তার কন্যাকে পার্শ্ববর্তী পাট ক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। উপর্যুপরি ধর্ষণের ফলে স্কুল ছাত্রী অচেতন হয়ে পরলে রজত তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরববর্তীতে স্কুল ছাত্রীর গোঙ্গানির শব্দ পেয়ে পাশ্ববর্তী বাড়ির দীপা, বিভা ও সীমা পাট ক্ষেত থেকে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেয়। ধর্ষিতা তার পরিবারকে ধর্ষণের ঘটনা জানায়। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়ার পরেও কোন উন্নতি না হওয়ায় মুর্মুর্ষ অবস্থায় ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীকে বুধবার রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক রজত পলাতক রয়েছে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ধর্ষিতার পিতা কানাই হালদার বলেন, তার কন্যা একটু সুস্থ্য হলেই তিনি থানায় মামলা দায়ের করবেন।

এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার ওসি অশোক কুমার নন্দির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লোকমুখে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থ্যা নেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।