সৎকার হলো না শিশু বন্যার

গ্রামপুলিশ হুমায়ুন আহম্মেদ জানান, বন্যার মৃত দেহ সরিকল ইউনিয়নের আধুনা গ্রামের তার পিত্রালয়ে নেয়া হয়। বন্যার পিতা-মাতা পলাতক থাকায় তার কোন অভিভাবক পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ওইদিন দুপুরেই বন্যার মৃতদেহ মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়। উল্লেখ্য, ওই গ্রামের শুকরঞ্জন মিস্ত্রির স্ত্রী আরতি রানী মিস্ত্রি গত বৃহস্পতিবার রাতে স্বপ্ন দেখেন তার কোলের ২৯ দিনের সন্তানকে হত্যা করা হলে সংসারের কল্যান ও গুপ্ত ধন পাওয়া যাবে। স্বপ্নকে বিশ্বাস করেই বিয়টি তার স্বামী শুকরঞ্জনকে জানায়। গুপ্ত ধনের আশায় পাষন্ড বাবা-মা গত শুক্রবার দুপুরে ২৯ দিনের শিশু কন্যা বন্যাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। বিভিন্ন নাটকীয়তার পর খবর পেয়ে গৌরনদী থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গৌরনদী থানার এস.আই শাহজালাল বাদি হয়ে নিহত বন্যার পিতা শুকরঞ্জন মিস্ত্রী, মাতা আরতী রানী, চাচাতো ভাই পরেশ মিস্ত্রী, রবিন মিস্ত্রীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ সংক্রান্ত একটি সচিত্র প্রতিবেদন গতকাল দৈনিক জনকন্ঠ-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।