যৌতুকের দাবিতে সন্তানসহ গৃহবধূকে খুন করে লাশ গুমের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ দীর্ঘ ২৫দিনেও সন্ধ্যান মেলেনি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সীমান্তবর্তী কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ রমজানপুর গ্রামের হিরন হাওলাদারের স্ত্রী শিখা আক্তার (২৯) ও তার কন্যা সায়েরা (৬)। শিখার পৈত্রিক পরিবারের দাবি দু’লক্ষ টাকা যৌতুক না পেয়ে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনে শিখা ও তার কন্যা সায়েরাকে খুন করে লাশ গুম করেছে। এ ব্যাপারে মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০০৩ সনে উজিরপুর উপজেলার বাহেরঘাট গ্রামের হাজী আশরাফের কন্যা শিখা আক্তারের সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ রমজানপুর গ্রামের শফিজদ্দিন হাওলাদারের প্ত্রু হিরন হাওলাদারের। তাদের ঘরে জন্ম নেয় সায়েরা নামের একটি কন্যা সন্তান। বিয়ের পর থেকে যৌতুকলোভী হিরন প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতো। শিখার ভাগ্নে মিঠু হাওলাদার অভিযোগ করেন, দু’মাস আগে বিদেশ যাওয়ার কথা বলে হিরন শ্বশুর বাড়ি থেকে দুইলাখ টাকা আনার জন্য তার খালাকে চাপ প্রয়োগ করে। যৌতুকের টাকা এনে দিতে না পারায় শিখার ওপর শারিরিক নির্যাতন শুরু করে হিরন। এ নিয়ে গত ৪ এপ্রিল মিঠু বাদি হয়ে তার খালু হিরনের বিরুদ্ধে কালকিনি থানায় একটি জিডি দায়ের করেছিলেন। এতে হিরন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

গত ১৭ মে শিখা ও তার কন্যাকে হিরন ও তার পরিবারের লোকজনে অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যার পর তাদের লাশ গুম করা হয়েছে বলে মিঠু অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে কালকিনি থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ রহস্যজনক কারনে মামলা নেয়নি। পরবর্তীতে গত ৪ জুন মিঠু বাদি হয়ে মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে শিখার স্বামী হিরন ও তার অপর তিন সহদরসহ সাত জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।