বরিশালে কোষ্টগার্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর চরমোনাই এলাকায় কোষ্টগার্ড ও জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে জেলে জুয়েল ফরাজীর মৃত্যুর ঘটনার পাঁচদিন পর মঙ্গলবার হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বরিশাল জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিমে আদালতে নালিশী মামলা দায়ের করেন ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি সমিতির বরিশাল জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃ হারুন-অর-রশিদ। জেষ্ঠ্য হাকিম মোঃ জাহিদুল কবির নালিশী অভিযোগ এজাহার হিসেবে রুজু করে ১৫ দিনের মধ্যে কাউনিয়া থানার ওসিকে আদালতকে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

নালিশী অভিযোগে কোষ্টগার্ড বরিশাল কোতয়ালী ষ্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার তফিজউদ্দিন, এসকে কর, আরইএন-১ এবি ফজলুল হক, এমই-১ মোঃ আজিম, তাদের দু’সোর্স মোঃ রাজু ও জসিমসহ অজ্ঞাত দু’জনকে বিবাদী করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর জখমসহ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, নালিশী অভিযোগে বাদি লিখিত ভাবে অভিযোগ আনেন বিবাদিরা অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে গত ৬ মে কীর্তনখোলা নদীতে মাছ শিকারত জেলেদের কাছে মাসোয়ারা দাবি করে। দাবি করা টাকা না দেয়ায় কোষ্টগার্ড সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথারিভাবে এসএমজি দিয়ে জেলেদের ওপর গুলিবর্ষন করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় জেলে বরিশাল সদর উপজেলার লামছড়ি এলাকার মোস্তফা ফরাজীর পুত্র জুয়েল ফরাজী। এছাড়াও জেলে কবিরের দু’হাঁটুর নিচে গুলিবিদ্ধ হয়। পিটিয়ে আহত করা হয় অপর জেলে হান্নানকে। পরে তাদের আটক করা হয়েছে।

গত ৭ মে সকাল ১০ টার দিকে কীর্তনখোলা নদীর লামছড়ি এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় পুলিশ জেলে জুয়েল ফরাজীর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় মামলা দায়ের  করতে ব্যর্থ হয়ে বাদি আদালতের শরনাপন্ন হয়ে বিচার প্রার্থনা করেন।