গৌরনদীর এক কোয়াক ডাক্তারের তওবা “মা আমাকে ক্ষমা করো-আমি আর হাঁস মুরগী খাবনা”

খোকন আহম্মেদ হীরা ॥ তিনি লেখা পড়া তেমন জানেন না, তবুও ডাক্তার। দীর্ঘ ২৫/৩০ বছর ধরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা সদরের টিকাসার গ্রামের শ্যামল দাস (৫৫) নামের এই কোয়াক ডাক্তার নানারোগের চিকিৎসার নামে প্রতারনা করে আসছে। বাবার পেশা টিকিয়ে রাখতেই তার এ অপকৌশল।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, তিনি ডাক্তারী, কবিরাজি, ঝাড়ফুঁক থেকে শুরু করে তাবিজ কবজের মাধ্যমে নানা রোগের চিকিৎসা প্রদানের নামে গ্রামের সহজ সরল লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছে। কোন কোন রোগীর রোগমুক্তির জন্য জানের বদলে জান ধার্য করা হয়। এ জন্য হাঁস-মুরগী, ছাগল-ভেড়া দিয়ে তুষ্ট করতে হয় তাকে। তার সাথে লোভনীয় ফলমুলতো রয়েছেই। না দিলে অকল্যান হবে, এ ধরনের ভয়ভীতি দেখানোর কারনে অনায়াসেই তার দাবি পূরন হয়।

অভিযোগ রয়েছে, নানা জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের কিছু না বুঝেই তিনি চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তিনি কোন টেষ্ট রিপোর্ট পড়তে পারেননা। তার পরেও রোগ নির্নয়ের জন্য এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন প্যাথলজিকাল টেষ্টের জন্য তিনি রোগীদের বিভিন্নস্থানে পাঠিয়ে থাকেন। এ জন্য তিনি ওইসব প্যাথলজিকাল সেন্টার থেকে পেয়ে থাকেন মোটা অংশের কমিশন। এ কারনে রোগ মুক্তির চেয়ে সাধারন রোগীরা ভোগে থাকেন বেশি।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন পূর্বে গভীর রাতে হঠাৎ করে অসুস্থ হন কোয়াক ডাক্তার শ্যামল দাস। একপর্যায়ে তিনি মা মা করে চিৎকার করতে থাকেন। বলেন, “মা আমাকে ক্ষমা কর, আমি আর হাঁস মুরগী খাবনা” এই বলে তিনি তওবা করেন। তওবা করার পর থেকেই শ্যামল দাস সুস্থ্য হয়ে যায়। এ নিয়ে ওই এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।