বাথী বাজারের মিষ্টি ব্যবসায়ীকে অপহরন – মুক্তিপন দিয়ে মুক্তি – থানায় মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাথী বাজারের এক মিষ্টি ব্যবসায়ীকে মুক্তিপনের দাবিতে অপহরন করে নির্জন বাগানের একটি ঘরে আটক করে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। অপহরনের পাঁচ ঘন্টা পর ব্যবসায়ী উজ্জল দাসকে মুক্তিপন দিয়ে তার নিকট আত্মীয়রা মুক্ত করেছেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে তাদের জীবনে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার চার দিন পর শনিবার সন্ধ্যায় চার জনকে আসামি করে গৌরনদী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নির্যাতিত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে বার্থী বাসস্ট্যান্ডের বাদল দাসের মিস্টির দোকান থেকে তার ছেলে উজ্জল দাসকে ডেকে নিয়ে যায় স্থানীয় কাদের লস্কর, শহিদুল ফকির, আলামিন মাতুব্বর ও লিটন রায়। পরে তাকে পশ্চিম বার্থীর জয়কালী খোলা সংলগ্ন বাগানে নিয়ে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপনের দাবিতে হাত-পা বেঁধে বেদম মারধর করা হয়। একপর্যায়ে উজ্জলের বড় ভাই খোকন দাসকে মোবাইল ফোনে খবর দিয়ে তারা সেখানে নেয়। এ সময় উজ্জলের মুক্তিপন বাবদ অপহরনকারীরা দেড় লাখ টাকা দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে ফেন্সিডিল দিয়ে উজ্জলকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার হুমকি দেয়া হয়।

খোকন দাস জানান, দুর্বৃত্তদের সাথে ৩০ হাজার টাকায় রফাদফা করে নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়ে বাকি ২০ হাজার আগামি বুধবার দেয়ার অঙ্গীকার করে তার ভাইকে মুক্ত করা হয়। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় কাউকে জানালে তাদের জীবনে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে মামলা দায়েরের উদ্যোগ নিলেও স্থানীয় ক্ষতাসীনদের বাঁধার কারনে তারা মামলা দায়ের করতে পারেননি। অবশেষে ঘটনার চারদিন পর শনিবার সন্ধ্যায় বার্থী এলাকার মাদক সম্রাট কাদের লস্কর, শহিদুল ফকির, আলামিন মাতুব্বর ও লিটন রায়কে আসামি করে গৌরনদী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। গৌরনদী থানার ওসি আবুল কালাম মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য জোর প্রচেষ্ঠা চলছে।