যাত্রীদের ওপর বাস ষ্টাফদের হামলা ও লুট – ১০ জন আহত

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ যাত্রীবাহী গাড়ির যান্ত্রিকত্র“টি নিয়ে সুপার ভাইজারের সাথে যাত্রীদের বাকবিতন্ডার জেরধরে বাসষ্টাফ ও তাদের সহযোগীরা যাত্রীদের ডাকাত অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে কমপক্ষে ১০ যাত্রীকে আহত করেছে। এসময় হামলাকারীরা আহত যাত্রীদের সাথে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশ ঈগল পরিবহন নামের বাসটি আটক করলেও ষ্টাফরা কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। হামলায় গুরুতর আহতদের গৌরনদী, কালকিনি ও বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটনাটি সোমবার রাতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বরইতলা নামক এলাকায়।

গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশ ও আহত যাত্রী সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার গাবতলী থেকে সোমবার রাত ১১টা দিকে ঈগল পরিবহন যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে মনিকগঞ্জের সংন্নিকটে পৌঁছলে গাড়ির যান্ত্রিকত্র“টি দেখা দেয়। এনিয়ে বাসের যাত্রী ও গৌরনদী উপজেলার টরকী বাসষ্ট্যান্ডের ঔষধ ব্যবসায়ী এস.এম শাহীনের সাথে সুপারভাইজার হাচান আলীর বাকবিতন্ডা হয়।

আহত যাত্রী এস.এম শাহীন জানান, এ ঘটনার জেরধরে পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ ফেরি পাড় হওয়ার পর সুপারভাইজার হাচান আলী মোবাইল ফোনে তার বাড়ি বরইতলার আত্মীয়দের জানান তার গাড়িতে ডাকাত আছে। সেজন্য তাদের রাস্তায় অবস্থান করতে বলে। রাত দেড়টার দিকে বড়ইতলা বাসষ্ট্যান্ড ঈগল পরিবহনটি পৌঁছলে চালক গাড়ি মহাসড়কের পাশে পাকিং করে। কোন কিছু আচ করার আগেই ২০/২৫ জন লোক গাড়িতে উঠে (ই-৪) এর যাত্রী শাহীনের ওপর হামলা চালায়। গাড়ির মধ্যে অন্যান্য যাত্রীরা এর প্রতিবাদ করলে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে অন্যান্য যাত্রীদের লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাথারী ভাবে পেটাতে থাকে। এসময় হামলাকারীরা যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান মালামালা লুট করে নিয়ে যায়। হামলায় যাত্রী এস.এম শাহীন, আলম খান, সুজন ফকির, নজরুল ইসলাম, সোহরাব হোসেনসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। যাত্রীদের ডাকচিৎকারে টহল পুলিশ এগিয়ে এসে আহতসহ অন্যান্য যাত্রীদের উদ্ধার করে অপর একটি ঈগল পরিবহনে তুলে দেয়। এ সময় বাসষ্ট্যাফসহ হামলাকারীরা কৌশলে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি মোবাইফোনে গৌরনদী হাইওয়ে থানাকে জানালে পুলিশ ঈগল পরিবহনের গাড়িটি আটক করে। আহতদের মধ্যে এস.এম শাহীন, আলম খানকে গৌরনদী, সুজন ফকিরকে কালকিনি ও নজরুল ইসলামকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। গৌরনদী হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটকৃত গাড়ি আমাদের হেফাজতে রয়েছে।