র‌্যাবের সোর্স পরিচয়ে বরিশালে মাদক ব্যবসায়ী সুমন মোল্লার সন্ত্রাস!

বরিশাল সংবাদদাতা ॥ বরিশালে র‌্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে সুমন মোল্লা নামের এক চ‎িহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নারী-পুরুষের মাঝে আতংক সৃষ্টি করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। দখল সন্ত্রাস,চাঁদাবাজী, ব্লাকমেইলসহ নানাবিধ অপকর্ম করেও এলাকায় মহড়াসহকারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এই মাদক ব্যবাসায়ীর অত্যাচারে অতিষ্ঠদের মধ্যে কেউ কেউ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে। প্রশাসনের ভূমিকা নিরব!

সূত্র বলছে, রুপাতলীর মৃত: সেকান্দার মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা। এক সময় কুমিল্লায় অস্ত্র ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত ছিল সুমন। সেখান থেকে বরিশালে এসে জড়িয়ে পড়ে মাদক ব্যবসায়। পাশাপাশি চালায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। নগরীতে মাদকের হোল সেলার হিসাবে পরিচিত সুমন মোল্লা। বর্তমানে মাদকের স্বর্গরাজ্য নগরীর টিয়াখালীর ঘরামী বাড়ির পুল এলাকা। আর সেখানে টিয়া সুমনকে মাদক সরবরাহ করছে সুমন। জানা যায়, কয়েক মাস আগে ট্রাফিক পুলিশের ওপর চড়াই হয় সুমন। এ ঘটনায় সুমনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় কারাগারে যেতে হয়। মামলায় জামিন নিতে জালজালিয়াতির জন্ম দিয়ে আদালত পাড়ায় বেশ সমলোচিত হয় মাদক ব্যবসায়ী সুমন মোল্লা। সূত্র জানায়, ট্রাফিক পুলিশ জামালকে মারধরের মামলায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত আহম্মদ মোল্লা সড়কের বাসিন্দা লালভানু নামের এক মহিলাকে স্ত্রী দেখিয়ে জামিন লাভ করে সুমন। আসলে লালভানু স্ত্রী নয়,জামিন পেতে প্রতারনার আশ্রয় নেয় সুমন। পরে বিষয়টি আদালত অবহিত হলে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয় সুমনকে। দায়ের হয় সুমনের বিরুদ্ধে প্রতারনা মামলা। এরফলে কয়েক দিন কারাগারে কাটিয়ে জামিনে বের হয়ে আসে।

গত ১৭ জুন বরিশাল আদালতে মাদক ব্যবসায়ী সুমন মোল্লার বিরুদ্ধে একটি চাঁদাদাবীর মামলা করেন রুপাতলীর ব্যবসায়ী রমজান মোল্লা। এর আগে রমজান মোল্লা তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেন। ১৯ জুন সুমন মোল্লা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আরেকটি লুটপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন রুপাতলী সোনার গা টেক্রটাইলে কর্মরত মনির হোসেন। স্থানীয় সূত্র বলছে, সুমন কয়েক বছর আগে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রুপাতলীতে বসবাসরত মাইক্রো চালকের কন্যা সুমিকে বিয়ে করে। পরবর্তীতে সুমনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বরিশাল ছেড়ে অন্যত্র চলে যান সুমি ও তার বাবা মা। একাধিক সূত্র জানায়, সুমন র‌্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে যতসব অপকর্ম করে চলছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ, জাগুয়ার কবির চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েক জন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে লাঞ্চিত করেছে সুমন। কেউ বিরুদ্ধচারন করলে তাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে নির্যাতন করে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকী দেয়া হয়। দ্বাম্ভিকতার সুরে প্রকাশ করে অস্ত্র বা ফেন্সিডিল হাতে দিয়ে ধরিয়ে দিবে। আবার হত্যা শেষে গুম করারও হুমকি দিচ্ছে।

স্থানীয় কাউন্সিল সুলতান মাহমুদ বলেন, সুমন সন্ত্রাস প্রকৃতির। সে প্রশাসনের সোর্স পরিচয়ে আতংকে সৃষ্টি করে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আসছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী রমজান মোল্লা বলেন, সুমন মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। এলাকার সাধারন মানুষ তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ। তিনি আরো বলেন, সুমনের অস্ত্রধারী বাহিনীর ভয়ে এলাকায় যেতে পারছি না। অস্ত্র বা ফেন্সিডিল দিয়ে সুমন ফাসিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে জানান রমজান।