কাজ শুরুর পর ওইদিন বিকেলে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জসিম সরদার এবং তার সহযোগীরা একলাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সে বিষয়টি তার মামাকে (ঠিকাদারকে) মোবাইল ফোনে জানালে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী লিটু দাবিকৃত চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জসিম তার সহযোগী মুরাদ হোসেন, রাসেল আহম্মেদ, শাকিল মাহমুদ, আব্দুল হান্নান অর্তকিত ভাবে হামলা চালিয়ে আহত করে জাকির সেরনিয়াবাত ও সামচুজ্জামান নানককে। হামলাকারীরা তাদের মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহত জাকির সেরনিয়াবাত বাদি হয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা জসিম সরদার তার সহেযাগী মুরাদ হোসেন, রাসেল আহম্মেদ, শাকিল মাহমুদ, আব্দুল হান্নানকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। চাঁদাবাজির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে আগৈলঝাড়া থানার এস.আই জসিম উদ্দিন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। চাঁদাবাজির ও লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জসিম সরদার বলেন, স্থানীয় ঠিকাদার এসোসিয়েশনের (গুহ কমিটির) পাশ কাটিয়ে লিটু কাজ বাগিয়ে এনেছেন। তাছাড়া সে এক প্রতিমন্ত্রির নাম ভাঙ্গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। আমার রাজনৈতিক ইমেজ নষ্ট করার জন্য ঠিকাদার লিটু ও তার লোকজনে আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।