গৌরনদীর এক প্রভাবশালী ইউপি চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার – জয়দেবপুরে ধর্ষণ মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক গোলাম হাফিজ মৃধাকে আটকের পর মঙ্গলবার সকালে জয়দেবপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্ত্রী-সন্তানদের কথা অস্বীকার করে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীর সাথে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ মেলামেশা গড়ে তোলায় চেয়ারম্যানের প্রেমিকা জাহানারা আক্তার লিপি বাদি হয়ে উত্তরা থানায় সাধারন ডায়েরী ও জয়দেবপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

জয়দেবপুর থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান জানান, ইডেন কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী জাহানারা আক্তার লিপির সাথে গৌরনদী উপজেলার চর দিয়াশুর গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম গোলাম মালেক মৃধার পুত্র হাফিজ মৃধা চার বছর আগে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্রধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হাফিজ তার প্রেমিকা লিপির কাছে বিয়ের কথা গোপন রাখে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লিপির সাথে হাফিজ অবৈধ মেলামেশা করে আসছিলো। সোমবার বিকেলে হাফিজ ও লিপি সিএনজিযোগে টঙ্গী থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। বিষয়টি অনুসরণ করেন চেয়ারম্যানের প্রথম স্ত্রী। উত্তরার আব্দুল্লাহপুর এলাকায় সিএনজিটি থামানোর চেষ্ঠা করে চেয়ারম্যানের প্রথম স্ত্রী। এ সময় চেয়ারম্যান হাফিজ মৃধা সিএনজি থেকে নেমে দৌড়ে পালাতে গিয়ে ব্যর্থ হন। তার স্ত্রীর ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে হাফিজ মৃধাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে উত্তরা থানায় সোপর্দ করে। ঘটনার পর পর লিপি উত্তরা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন (যার নং-১৮৩৭)। লিপির বাড়ি জয়দেবপুর থানা এলাকায় হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে জয়দেবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হাফিজ মৃধাকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক মিরন হোসেন জানান, তিন সন্তানসহ স্ত্রীর কথা গোপন করে হাফিজ। ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্নস্থানে নিয়ে ধর্ষন করা হয়। মামলা দায়েরের পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। আটককৃত ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজ মৃধাকে উত্তরা থানা থেকে জয়দেবপুর থানায় নেয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় নলচিড়া ইউনিয়নে সাধারন জনগনের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।