ভূখানাঙ্গা মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন কিবরিয়া

আহমেদ আবু জাফর, ঝালকাঠি ॥ মানুষ হিসেবে একজন ব্যক্তির মাঝে নানা গুন থাকা যেমন প্রয়োজন, তেমনি নানা গুনের অধিকারী হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি ও তার পরিবার সমাজকে শ্রেনী বিন্যাস না করে  ভূখানাঙ্গা মানুষসহ সমাজের প্রতিটি মানুষের মাঝে আলোকবর্তিকা হয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের সমাজেরই একজন বিনয়ী মানুষ। যিনি একাধারে দানশীল, সমাজসেবক, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ। তার পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত সামাদ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এলাকার দূ:স্থ, গরীব শিক্ষার্থী, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা ও সাধারন মানুষের পাশে দাড়িয়ে মিঞা আহমেদ কিবরিয়াসহযোগিতা ও সেবা করে যাচ্ছেন। তিনি হচ্ছেন সামাদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মিঞা আহমেদ কিবরিয়া।

ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার হদুয়া পীর সাহেবের চারনভূমিতে তার আদি নিবাস। বহু আগে পিতৃ সম্পত্তি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর বাসযোগ্য আবাস ঘরে তোলেন রাজাপুর শহরে। জীবিকার তাগিদে বড় ভাইদের সাথে ঢাকায় স্থায়ী ভাবে থেকে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের প্রথম সারির একজন প্রতিষ্ঠিত কার্গো ব্যবসায়ী। মতিঝিল দিলকুশায় অবস্থিত ‘কার্গো কন্টোল’। তার নেতৃত্বে পরিচালিত কার্গো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিচালিত হয়ে বাংলাদেশের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি বর্হিবিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে তুলছে।

মিঞা আহমেদ কিবরিয়ার দান-অনুদানে ঝালকাঠি-নলছিটি ও রাজাপুরের বহু মেধাবী ছাত্র, কৃষক, সমাজকর্মী, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। ঝালকাঠি-নলছিটির দূ:স্থ মানুষ ও বিশেষ করে চিকিৎসা এবং কৃষি খাতে আর্থিক  সহযোগিতা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন। কন্যাদায়গ্রস্থ, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী ও বিধবাদের আর্থিক সহযোগিতা করে সাধারন মানুষের মাঝে একজন প্রিয় ব্যক্তি হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন।  তাই তিনি এলাকায় একজন দানবীর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে দেশে ও বিদেশে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছেন।  পাশাপাশি একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবেও ব্যাপক পরিচিতি লাভ করছেন। স্থায়ী ভাবে ঝালকাঠি-নলছিটিতে বিএনপি’র রাজনীতি করার জন্য সংগঠনকে গতিশীল ও বেগবান করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নিজের ব্যক্তিগত সেবা ও রাজনৈতিক চর্চ্চা নেতাকর্মীদের মাঝে বিকশিত করার জন্য ইতিমধ্যে নিজগ্রাম হদুয়ায় একটি বিলাসবহুল বাড়ি নির্মান করে প্রতি মাসে ২/১ বার এসে এলাকার সাধারন মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মিলিত হয়ে সকলের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তাই তিনি এলাকার সাধারন মানুষ ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মনের মাঝে স্থান করে নিয়েছেন।

ভাইদের হাত ধরে ঢাকায় ব্যবসা শুরুর পর বড় ভাই ইয়াহিয়া ও মিঞা মাসুদ জাকারিয়ার  অকাল মৃত্যুর পর সামাদ সন্স গ্র“প কোম্পানীর এমডি নির্বাচিত হওয়ায় ব্যবসায়িক-পারিবারিক ও আতœীয়-স্বজনের প্রতি খেয়াল রেখে তাদের স্মরনে দোয়া মিলাদ, বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানায় সাহায্য-সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।  

তিনি ঢাকা ও ঝালকাঠির স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও নাগরিক সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানবসেবা ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমুহে উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য তাকে দেশ-বিদেশের মানবতাবাদী সংগঠন পুরস্কারে ভূষিত করেছেন। এছাড়া দেশের ব্যবসা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন তাকে পুরুস্কৃত করেছেন।

সূত্রমতে, সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ঢাকার ন্যাশনাল টাইমস ফাউন্ডেশন ২০০৬ সালের বিজয় দিবসে ‘গুনীজন সম্মাননা’ প্রদান করেন। একই অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ মিডিয়া প্লাস মার্কেটিং এন্ড কমিউনিকেশন কর্মকান্ডে তাকে গুনীজন সম্মাননা প্রদান করা হয়। এসোসিয়েশন অব কার্গো এজেন্টস অব বাংলাদেশ ২০০৩-২০০৪ অর্থ বছরে তাকে সম্মাননা প্রদান করেন। ২০০৩-২০০৪ ও ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে প্রফেশনাল পাবলিশিং ‘ফিল অব এ্যাওয়ার্ড’ সম্মাননা পান। ২০০৫ সালে তিনি অর্থকন্ঠ বিজনেস এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন। জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের একজন সদস্য হিসেবে ব্যবসায়িক খাতে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে প্রতি মাসে দেশ বিদেশের বিভিন্ন সভা সেমিনারে অংশ নিয়ে দেশোন্নয়নে অবদান রেখে চলছেন। ২০১১ সালে বাংলার আলো ফটো নিউজ এজেন্সী মিডিয়া বান্ধব ব্যক্তি হিসেবে সম্মাননা প্রদান করেন। তুলা শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১০ সালে তিনি বিসিএ কর্তৃক পুরুস্কৃত হন। ২০১২ সালে থাইল্যান্ড সরকারের আমন্ত্রনে বাংলাদেশে মেঘনাম মার্কেটিং লিমিটেডের পক্ষে তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

বর্তমানে তিনি ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে জেলার ৩২টি  ইউনিয়ন, ২টি পৌরসভা ও ৪টি উপজেলার তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করে আগামী নির্বাচনে বৈতরনী পার হওয়ার জন্য হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।