মোবাইল ফোনে প্রেম অতঃপর বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ – শেষ পরিনতি মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্রধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষন করা হয়। শেষ পর্যন্ত স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেয়ায় মঙ্গলবার ধর্ষন মামলা দায়ের করা হয়েছে ধর্ষক প্রেমিক ও তার পরিবারের তিনজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষিকার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছেন।

ধর্ষিতা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছর পূর্বে উপজেলার পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামের সাইদুল হাওলাদারের পুত্র সাগর হাওলাদারের সাথে আগৈলঝাড়া উপজেলার থানেরশ্বরকাঠী গ্রামের বিলকিস আক্তারের (১৮) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরইমধ্যে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিলকিসের সাথে সাগর অবৈধ মেলামেশা করতে থাকে। বিলকিসকে বিয়ে না করেই সাগর তার বাড়িতে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ন্যায় বসবাস শুরু করে। সাগরের পিতা-মাতা বিলকিসকে গৃহবধুর স্বীকৃতি দিয়ে বিষয়টি মেনে নেয়। একপর্যায়ে বিলকিস অন্তঃস্বত্তা হয়ে পরে। সাগর ও তার মা শাহানাজ বেগম বিলকিসকে ফুসলিয়ে গর্ভপাতের জন্য গত ২৪ জুন মুলাদীর নাজিরপুর পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তার কামরুন নাহার বিলকিসের গর্ভপাত ঘটায়। এ ঘটনার পর বিলকিস বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে সাগর ঢাকায় নিয়ে বিলকিসকে বিয়ে ও বাসা ভাড়া করে রাখার প্রলোভন দিয়ে গত ২৮ জুন বিলকিসকে লঞ্চযোগে ঢাকায় নিয়ে যায়। পরেরদিন সকালে লঞ্চ থেকে নেমে বাসযোগে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে নেমে বিলকিসকে সেখানে ফেলে রেখে সাগর গাঁ ঢাকা দেয়। বিলকিস ঢাকা থেকে ফিরে এসে নিজেই বাদি হয়ে সাগর হাওলাদারসহ তার পরিবারের চারজনকে আসামি করে মঙ্গলবার সকালে গৌরনদী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

গৌরনদী থানার ওসি আবুল কালাম জানান, ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জোড় চেষ্টা চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।