আর এসব তামাকজাত পণ্য থেকে সরকার রাজস্ব পাচ্ছে মাত্র তিন হাজার কোটি টাকা। ফলে বাংলাদেশের সার্বিক ক্ষতির পরিমাণ আট হাজার কোটি টাকা। তামাকের ওপর করারোপে রাজস্ব আয় বাড়লেও ব্যবহার খুব বেশি কমবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, স্বল্পমেয়াদে ৩৩ শতাংশ দাম বাড়ালে ১৪ শতাংশ ব্যবহার কমবে এবং ৫৩ শতাংশ রাজস্ব বাড়বে। সেই সঙ্গে আগামী ৪০ বছরে ২০ লাখ লোক অকাল মৃত্যু থেকে রক্ষা পাবে। ধূমপানের ব্যবহার কমানোর জন্য তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জোরদার, নাগরিক সমাজকে সোচ্চার এবং পাঠ্যপুস্তকে ধূমপানের কুফল অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান বলেন, রাজস্ব আয় বড় বিষয় না। সামাজিকভাবে মোকাবিলা করে তামাকের ব্যবহার কমাতে হবে। আর সরকার কি চায় তার ওপরই নির্ভর করছে তামাকের ওপর কর আরোপ হবে কি হবে না। দাম বাড়ালে সিগারেটের ব্যবহার আরো বাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, সিগারেট তখন ধনীদের খাবারে পরিণত হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ইসমাঈল হোসেন বলেন, সিগারেট শিল্প থাকবে কি থাকবে না তা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে দেখতে হবে। তামাকের ওপর কর বসানোর বিরোধিতা করে সংসদ সদস্য ননী গোপাল মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের দেশে যেখানে ৭০ শতাংশ ভোটার তামাক সেবন করে তাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে তাদের ওপর করের বোঝা চাপানো ঠিক হবে না। আর তামকের ওপর কর কতটুকু সফল তা ভাবতে হবে। তামাকের ওপর কর না বাড়িয়ে আমাদের সামাজিক পরিবেশের ওপর নজর দিতে হবে।’ আগামী ২০১০-২০১১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে তামাকের ওপর অতিরিক্ত কর বসানো হচ্ছে। সংসদের অর্থমন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আহম মোস্তফা কামাল বলেন, যারা এখনও ধুমপান করেনা তাদের সচেতন করতে হবে।