গৌরনদী হাসপাতালে নববধূর লাশ ফেলে স্বজনদের পলায়ন

গৌরনদী অফিস ॥ বিয়ের মাত্র তিন মাসের মাথায় এক নববধূর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। ওই নববধূর লাশ বরিশালের গৌরনদী হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে তার স্বামীর বাড়ির স্বজনেরা। ফলে ওই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে নাকি সে আত্মহত্যা করেছে এনিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। অবশেষে থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে নববধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করেছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদীর পাশ্ববর্তী কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া গ্রামের দিনমজুর ছালাম হাওলাদারের কন্যা কনা আক্তারের (২২) গত তিনমাস পূর্বে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় একই উপজেলার উত্তর চরআইরকান্দি গ্রামের ইউসুব হাওলাদারের সাথে। ইউসুব কর্মস্থলের সুবাধে ঢাকায় বসবাস করলেও নববধূ কনা শশুড়-শাশুড়ির সাথে সুখে স্বাচ্ছন্দে স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করে আসছেন। এরইমধ্যে গত শুক্রবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় কনার স্বামীর বাড়ির (উত্তর চরআইরকান্দি গ্রামের) প্রতিবেশী আলাউদ্দিন সিকদারের পুত্র তুষার সিকদার ও মোহাম্মদ আলীর পুত্র রাসেল মুর্মুর্ষ অবস্থায় কনাকে নিয়ে গৌরনদী হাসপাতালে আসে। কনাকে তার শয়ন কক্ষ থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে তারা চিকিৎসককে জানায়। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষার পর হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক কনাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। মুহুর্তের মধ্যে প্রতিবেশী তুষার ও রাসেল হাসপাতালে নববধূর লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। কনার মৃত্যুর খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পরলে তার স্বামীর ও বাবার বাড়ির লোকজন হাসপাতালে জড়ো হয়। নববধূর স্বামীর পরিবার থেকে জানানো হয়েছে গলায় ফাঁস দেয়ার কোন ঘটনাই ঘটেনি। তাহলে কনার মৃত্যুর মূল রহস্যটা কি? হত্যা না আত্মহত্যা। খবর পেয়ে গৌরনদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কালকিনি থানা পুলিশকে খবর দেয়। কালকিনি থানা পুলিশ ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে নববধূ কনার লাশ উদ্ধার করেন। গতকাল শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কনার লাশ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কালকিনি থানার ওসি শাহিন মন্ডল জানান, নববধূ কনার মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক। তবে ময়নাতদন্তের বির্পোটে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। তবে এ ব্যাপারে থানায় এখনো কেউ মামলা দায়ের করেননি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।