আগৈলঝাড়া উপজেলায় আশংকাজনক হারে বাড়ছে বাল্যবিবাহ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় আশংকাজনক হারে বেড়েছে বাল্যবিবাহ। গত এক মাসে এ উপজেলায় ২০টি বাল্যবিবাহ হয়েছে। গত ৯ জুলাই পুলিশের বাঁধায় পন্ড হয়ে গেছে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে। এলাকার সচেতন মহল বাল্যবিবাহের জন্য অভিভাবকদের পাশাপাশি বিয়ে রেজিষ্ট্রার কাজীদের ও গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহন না করায় ইউপি চেয়ারম্যানদের দায়ি করেছেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের গোপালসেন গ্রামের ননী মধুর কন্যা ও পয়সারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী নিপা মধুর (১৩) সাথে একই উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের কান্দিরপাড় গ্রামের নারায়ন মুন্সির পুত্র প্রশান্ত মুন্সির সাথে বিয়ের তারিখ ছিলো গত ৯ জুলাই রাতে। পয়সারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, স্কুলে ভার্তি অনুযায়ী নিপার বয়স ১৩ বছর, কিন্তু বাগধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি জন্মনিবন্ধনে নিপার বয়স ১৯ বছর লিখে সনদপত্র প্রদান করেছেন। এলাকাবাসি ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাত্রী নিপা মধুর বিয়েতে বাঁধা দিয়ে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে তারা বাল্যবিয়ের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আজমল হোসেনকে জানালে তার নির্দেশে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন ও এস.আই আলাউদ্দি তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক কাজী বলেন, বিয়ে পড়ানো সময় আমরা স্কুল সার্টিফিকেট বা চেয়ারম্যানদের জন্মনিবন্ধন দেখে বিয়ে পড়াই। এ ব্যাপারে বাগধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি বলেন, মেয়েদের পিতা-মাতা ফরমপুরন করে, গ্রামপুলিশ ও ইউপি সদস্য-সদস্যাদের স্বাক্ষর নিয়ে আসলে আমরা সরকারি রেভিনিউর টাকা পেয়ে জন্মসনদ দিয়ে থাকি। চেয়ারম্যান হিসেবে আমার সব ফরমের তদন্ত করার সম্ভব হয়না। একটি বেসরকারি এনজিও’র অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, গত এক মাসে আগৈলঝাড়া উপজেলায় ২০টি বাল্যবিবাহ হয়েছে।