রমযান তাকওয়া ও আত্মশুদ্ধির মাস

যা কিছু পুরুষেরা উপার্জন করেছে তাদের অংশ হবে সেই অনুযায়ী। আর যা কিছু নারীরা উপার্জন করেছে তাদের অংশ হবে সেই অনুযায়ী। হাঁ, আল্লাহর কাছে তাঁর অনুগ্রহ ও মেহেরবানীর জন্য দোয়া করতে থাকো। নিশ্চিতভাবেই আল্লাহ সমস্ত জিনিসের জ্ঞান রাখেন। -সুরা নিসা: ৩১-৩২

রমযান তাকওয়া ও আত্মশুদ্ধির মাস

আল্লাহ তা’আলা বলেছেন:

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ ﴿2:183﴾

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে যেমন করে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরয করা হয়েছিল। সম্ভবত এর ফলে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারবে। বাকারা: ১৮৩

তাকওয়ার মূল ধাতুর অর্থ বাঁচা, মুক্তি বা নিষ্কৃতি।

তাকওয়ার আভিধানিক অর্থ হল ভয় করা, পরহেযগারী, বিরত থাকা। শরিয়তের পরিভাষায় – আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়ে সকল আদেশ মানা এবং নিষিদ্ধ কাজ থেকে দূরে থাকার নাম তাকওয়া।

কাজেই তোমাদের মধ্যে যতটা সম্ভব হয় আল্লাহকে ভয় করতে থাকো। আর শুন ও অনুসরণ কর এবং নিজের ধন-মাল ব্যয় কর, এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। যে লোক স্বীয় মনের সংকীর্ণতা ও কৃপনতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারবে তারাই সফলকাম হবে। তাগাবুন: ১৬

নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সর্বাধিক সম্মানিত সে, যে তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক আল্লাহভীরু। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সবকিছু জানেন এবং সব বিষয়ে অবহিত। হুজুরাত: ১৩

আর যে ব্যক্তি নিজের রবের সামনে এসে দাঁড়াবার ব্যাপারে ভীত ছিল এবং নফ্‌সকে খারাপ কামনা থেকে বিরত রেখেছিল তার ঠিকানা হবে জান্নাত। সূরা নাযিয়াত: -৪১

আর তাই  মহান আল্লাহ ঈমানদের সম্বোধন করে আহবান করেছেন-

হে ঈমানদারগণ ! তোমরা যথাযথভাবে আল্লাহকে ভয় করো ৷ মুসলিম থাকা অবস্থায় ছাড়া যেন তোমাদের মৃত্যু না হয় ৷- সূরা ইমরানঃ ১০২

আমার প্রিয় বোনেরা, এই জীবন ক্ষনস্থায়ী। কে কখন লাশ নেমে অভিহিত হয়ে যাবো কেউ বলতে পারি না। আল্লাহ বলেছেন-

কিন্তু তিনি সকলকেই একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দিয়ে থাকেন। পরে যখন সেই সময় এসে উপস্থিত হয় তখন তার একমুহুর্ত আগে পরে হতে পারে না। নাহল: ৬১

তাই এই মুহুর্ত থেকেই হোক আমার পূর্ণ সচেতনতার সময়। আল্লাহ বলেছেন-

আর সফলকাম হবে ঐ সব লোক যারা আল্লাহ ও রাসূলের হুকুম পালন করে, আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর নাফরমানী হতে দূরে থাকে। নূর: ৫২