পশ্চিম চন্দ্রহার ও মেদাকুল গ্রামে দু’পরিবারের ১৩ জনকে অচেতন করে মালামাল লুট

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পশ্চিম চন্দ্রহার ও মেদাকুল গ্রামে পৃথক ভাবে দুটি হিন্দু পরিবারের ১৩ জনকে খাবারের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে সর্বস্ত্র লুটে নিয়েছে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতকারীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। দুস্কৃতকারীরা ওই দু’গৃহ থেকে নগদ ৭৫ হাজার টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে ওই দু’পরিবারের ১৩ জনকে মুর্মুর্ষ অবস্থায় গৌরনদী ও বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের পশ্চিম চন্দ্রহার গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দম্পত্তি বরুন তালুকদার ও দিপু তালুকদারসহ গৃহের ৬ সদস্য বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে প্রতিদিনের ন্যায় ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র সিঁদ কেটে ঘরে প্রবেশ করে। ঘরের মধ্যে ষ্টীলের আলমিরা ও সুকেশ ভেঙ্গে নগদ ৪৭ হাজার টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। গতকাল শুক্রবার সকাল আটটার দিকে বাড়ির লোকজনে ওই পরিবারের সবাইকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। মুর্মুর্ষ অবস্থায় গৃহকর্তা বরুন তালুকদার তার স্ত্রী দিপু তালুকদার, মা নিগ্ধা রানী তালুকদার, ভাই তরুন তালুকদার, তার স্ত্রী মিতু তালুকদার ও অরুনকে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করে।

অপরদিকে একইদিন রাতে উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের মেদাকুল গ্রামের রুহিদ দাসের গৃহে একই ভাবে অচেতন করে পরিবারের সাত সদস্যকে অচেতন করে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। অচেতন অবস্থায় গৃহকর্তা রুহিত দাস, তার স্ত্রী সুজাতা, কন্যা পাষানী, আকাশ, নয়ন তাঁরা, সুখরঞ্জন ও গৌতমকে গতকাল শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন দুপুরে তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অসুস্থ্যরা একটু সুস্থ্য হলে মামলা গ্রহন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।