বাগধা স্কুল এন্ড কলেজ – অবকাঠামো সংকটে শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যহৃত

প্রবীর বিশ্বাস ননী, আগৈলঝাড়া ॥ মানসম্মত ফলাফল হওয়া সত্বেও বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বাগধা স্কুল এন্ড কলেজের ভৌত অবকাঠামোসহ নানা সংকটের কারনে শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যহৃত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে সূত্রে জানা গেছে আগৈলঝাড়া উপজেলার ১২ কিঃ মিঃ পশ্চিমে দূর্গম বিলাঞ্চলের পশ্চিম বাগধা ও পার্শবতী সাতলা, আমবৌলা, নারায়নখানা, জয়রামপট্টি, পয়সারহাট, চাঁত্রিশিরাসহ বৃহৎ এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থা তরান্নিত করতে ১৯২২ সনে পশ্চিম বাগধা মাধ্যমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলেন স্থানীয় ধনাঢ্য ও শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিরা।

প্রথমে টিনশেড ঘরে স্কুল চালু করা হয়। শুরু থেকেই মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা চালু থাকায় ১৯৯৫সনে সরকারি অর্থায়নে চার কক্ষের পাঁকা ভবন র্নিমান হলেও মাত্র ১৭ বছরের ব্যবধানে নিম্নমানের র্নিমান কাজ হওয়ায় ওই ভবনটি বর্তমানে ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে পরেছে। আরেকটি ভবন ধসে পরার কারনে কর্তৃপক্ষ ভেঙ্গে দিয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয় শাখায় ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য দুইটি টিনশেড ঘরে গাদাগদি করে চলছে পড়ালেখা। দূর্গম এ অঞ্চলে পৌঁছেনি এখনো বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। যোগাযোগ অনেকখানি কাঁচা রাস্তাই ভরসা। অনেক শিক্ষার্থীর দূর্গম বিল পাড়ি দিয়ে ডিঙ্গি নৌকায় চরে আসতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। মাধ্যমিক পাশ করে কলেজে পড়ালেখা করতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে ১৯৯৫ সনে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী চালু করা হয়। যে কারনে স্কুলের পাশেই কলেজ শাখার জন্য সরকারি অর্থায়নে দ্বিতল বিশিষ্ট কলেজ ভবন নির্মান হলেও দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার কারনে ভবনের বিভিন্ন অংশ ধসে পরছে। বর্তমানে কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছয়শতাধিক। ভবন সংকটের কারনে কলেজের শিক্ষাব্যবস্থাও বিঘœ ঘটছে চরমভাবে।

সরেজমিন স্কুল ও কলেজ ঘুরে দেখা গেছে ভাঙ্গা চোরা বেঞ্চই হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ভরসা। চেয়ার, টেবিল এমনকি ব্লাকবোর্ডের অবস্থাও নাজুক। শিক্ষার্থীদের কমন রুম, শিক্ষক লাইব্রেরীর আসবাবপত্র, খেলার মাঠ সবকিছুতেই সংকট থাকা সত্বেও দূর্গম বিলাঞ্চলের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটিতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে বিগত কয়েক বছর যাবৎ নামি-দামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ডিঙ্গিয়ে শীর্ষে রয়েছে। স্কুল এন্ড কলেজের গবর্নিং বডির সভাপতি ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ খান, অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান মিঞা সদস্য মোজাম্মেল হক হাওলাদার, মুজাফ্ফর সরদার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। সমস্যার সমাধান হলে সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থায় আরো প্রসার ঘটবে বলেও তারা উল্লেখ করেন।