বরিশালের রসুলপুর বস্তির জমি নিয়ে বিরোধ – সভাপতি ও সভানেত্রীর বিরুদ্ধে ২৫ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশাল নগর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী রসুলপুর চরের জমি খাস বন্দোবস্ত এনে দেয়ার কথা বলে ভূমিহীনদের কাছ থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে আজ সোমবার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
 
{loadposition user12} N S Beauty Parlourমামলায় আসামি করা হয়েছে জেলা কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি হারুন ভান্ডারী তার স্ত্রী ও কৃষানী সভার সভানেত্রী রেহানা বেগম মিতু, পুত্র হৃদয় ভান্ডারী, ফেডারেশন নেতা হালিম মহুরী ও ইউসুফ হোসেনকে। রসুলপুর চরের বাসিন্দা রেখা বেগম বাদি হয়ে বরিশাল চীফ জুডিশিয়াল আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদি রেখা বেগম অভিযোগ করেন, সরকারি খাস জমি জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে বন্দোবস্ত করে এনে দেয়ার নাম করে হারুন ভান্ডারী ২০০৬ সনের ৩১ আগষ্ট থেকে গত ১ জুলাই পর্যন্ত বস্তির বাসিন্দাদের কাছ থেকে ২৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বাদির লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে আদালতের বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।

একইদিন রসুলপুরের ভূমিদস্যু কবির ঢালীর বিরুদ্ধে একই আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ব্যবসায়ী শান্তি রঞ্জন দাস। তিনি অভিযোগ করেন, গত ১২ জুলাই কবির ঢালী তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদার দাবিতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে কবির ঢালী ও তার লোকজন ২০ জুলাই রাতে দোকান ঘরটি দখল করে নেয়। এ সময় শান্তি রঞ্জনের স্ত্রী মাধু রানী দাসকে মারধর করে তার শ্লীলতাহানী করা হয়। বিচারক অভিযোগটি তদন্ত করে কোতয়ালী থানার ওসিকে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার হারুন ভান্ডারী ও তার স্ত্রী রেহেনা বেগম মিতুকে পাওনা টাকার দাবিতে বস্তির বাসিন্দারা নগরীর সদর রোডে আটক করেন। এ সময় হারুন ভান্ডারী বিবির পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও মিতুকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

{loadposition AD107}