বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে ঈদের আগেই চালু হচ্ছে অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী জাহাজ কীর্তনখোলা

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ নৌ-নির্ভর বরিশাল অঞ্চলের যাত্রীদের জন্য বরিশালে ব্যক্তি মালিকানায় চালু হতে যাচ্ছে চারটি আধুনিক যাত্রীবাহী জাহাজ। কীর্তনখোলা-২, সুন্দরবন-৯ ও ১০ এবং সুরভী নামের জাহাজগুলোর নির্মান কাজ প্রায় শেষের পথে। এরমধ্যে কীর্তনখোলা-২ ঈদের আগেই সার্ভিসে নামতে পারে বলে ধারনা দিয়েছেন জাহাজ কর্তৃপক্ষ।

সূত্রমতে, এ জাহাজগুলো সার্ভিসে নামলে সরকারি যাত্রীবাহী জাহাজ বিআইডব্লিইটিসি’র লক্করঝক্কর মার্কা জাহাজের দুর্ভোগের হাত রেহাই পাবে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। লঞ্চ মালিকদের সিন্ডিকেটের হাত থেকেও বাঁচা যাবে এমন কথা বললেন নৌ-পথে চলাচলকারী এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। এসব জাহাজগুলো নির্মান হচ্ছে বরিশালের কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন ডকইয়ার্ডে।

কীর্তনখোলা-২ এর মালিক মঞ্জুর হোসেন ফেরদৌস জানান, ৩০৫ ফুট লম্বা তার জাহাজে যাত্রীধারন ক্ষমতা প্রায় ১০ হাজার। জাহাজটিতে শিশুদের জন্য খেলাধুলার আলাদা স্থান, স্যাটেলাইট টিভি দেখার ব্যবস্থা, আর্থিক লেনদেনের জন্য এটিএম বুথ, নিরাপত্তার জন্য ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। এ জাহাজে ডাবল, সিঙ্গেল, স্টাফ কেবিন, ভিআইপি স্যুট ছাড়াও থাকবে ছয়টি বিজনেস ক্লাস সুবিধা। তার জাহাজে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি ২’শ টন মালামাল পরিবহনের ধারন ক্ষমতা রাখা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানী লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, তিনি দুটি যাত্রীবাহী জাহাজ নির্মান করছেন। প্রায় ৩’শ ১০ ফুট লম্বা তার জাহাজটি হবে এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ যাত্রীবাহী জাহাজ। এ যাত্রীবাহী জাহাজ সার্ভিসে নামলে যাত্রীদের কেবিন সংকট দূর হবে। তিনি এ সার্ভিসের সফলতার জন্য নৌ-রুটে নাব্যতা বজায় রাখার দাবি জানান। সুরভীর মালিক রিয়াজুল ইসলাম জানান, তাদের জাহাজ নির্মানের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগামী বছরের প্রথমার্ধে ঢাকা-বরিশাল রুটে তাদের জাহাজ যুক্ত করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে ঈদের আগেই চালু হচ্ছে অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী জাহাজ কীর্তনখোলা